বিপর্যয়েও রংধনু ধরে রেখেছে তার স্বকীয়তা

এপ্লাস গতবারের তুলনায় এবার কমলেও শতকরা হিসেবে বেড়েছে

 

স্টাফ রিপোর্টার: যশোর শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হারই শুধু কমেনি, কমেছে এপ্লাস প্রাপ্তির সংখ্যাও। তার প্রভাব পড়েছে চুয়াডাঙ্গাতেও। চুয়াডাঙ্গার দুটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে গতবার এসসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে জিপিএ পেয়েছিলো ১১৭ জন, এবার? সে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩ জনে। শুধু সরকারি দুটি বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য বিদ্যালয়েও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা গতবারের তুলনায় বহু কম। এ সকল প্রতিষ্ঠানের সহযোগী শিক্ষাদান কেন্দ্র হিসেবে রংধনু তার স্বকীয়তা ধরে রেখেছে। গতবার এ শিক্ষাদান কেন্দ্রের এ প্লাস প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৫৬, এবার সে সংখ্যা ৪৫ জনে নামলেও শতকরা হিসেবে গতবারের তুলনায় বেশি। গতবার যেখানে জিপিএ প্রাপ্তির হার শিক্ষার্থী অনুপাতে ছিলো শতকরা ৫০ ভাগেরও কম, সেখানে এবার সে হার ৬০ ভাগের ওপরে।

এবার যশোর শিক্ষাবোর্ডসহ সারাদেশেই এ প্লাসের সংখ্যা কমেছে। যশোরের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার ফলাফল তুলনামূলক আরো বিপর্যয়। কেন? এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গার রংধনুর স্বপ্নপুরুষ প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সালাম বলেছেন, পরীক্ষার সময় রাজনৈতিক অস্থিতির কারণে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিকভাবে বিপর্যয় দেখা দেয়। এছাড়াও কিছু কারণ রয়েছে। তবে বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার সরকারি দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানদ্বয় ফলাফল বিপর্যয়ের কারণগুলো আন্তরিকতার সাথে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে আগামীতে ভালো কিছু হবে। বর্তমানে বিদ্যালয় দুটির প্রধানদ্বয়ের সে দক্ষতা রয়েছে। রংধনু শিক্ষাদান কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৩০ জন। এ প্লাস পেয়েছে ৪৫ জন। এর মধ্যে গোল্ডেন এপ্লাস ১৭ জন, এ প্লাস ২৮ জন, এগ্রেড ৭১ জন, মাইনাস ৭ জন।

যারা গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে:

চুয়াডাঙ্গা সদরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড পাড়ার মো. মশিউর রহমান বিশ্বাস ও বেগম ওবাইদা নাহারের ছেলে মো. আসোয়াদ আলভী ইয়ানূর সাওম, শান্তি পাড়ার মো. আবুল কালাম আজাদ ও মোছা. ফিরোজা খাতুনের ছেলে মো. ফাহাদ কাদির শিশির, ইমারজেন্সী রোডের ইসরাফিল হক ও শারমীন নাহারের মেয়ে ইশরাত জাহান মমি, কলেজ পাড়ার ডা. এম বি আজম ও মোছা. শামীমা আক্তারের ছেলে শুফান শাজী, পলাশ পাড়ার মো. মামুন আক্তার ও সোহেলী সুলতানার ছেলে আবু যুবায়ের, জোয়ার্দ্দার পাড়ার আব্দুল মালেক ও রেহেনা মালেকের মেয়ে রেহেনুমা বিনতে মালেক রিয়া, গোপাল পুরের মো. শহিদুল ইসলাম ও মোছা. লিপি বেগমের মেয়ে মোছা. শাম্মী আক্তার সুমী, চুয়াডাঙ্গা সদরের আরাম পাড়ার সাইদ হাসান মালিক ও নাছরিন পারভীনের ছেলে সায়েম হাসান মালিক, সিনেমা হল পাড়ার রফিকুল আলম ও ফেরদৌসি আরার মেয়ে জয়নব সুলতানা সূচনা, হাসপাতাল পাড়ার মো. তরিকুল ইসলাম ও মোছা. শাহীনা খাতুনের ছেলে মো. জান্নাতুল নাঈম, আলুকদিয়ার মো. ইকতিয়ার উদ্দিন ও গুলশান নাহারের ছেলে মো. আবিদ বিশ্বাস শাওন, যদুপুর বেগমপুরের মো. সাবান আলি ও মোছা. ছায়েরা খাতুনের ছেলে মো. বায়েজিদ, চুয়াডাঙ্গা সদরের পুরাতন পাড়ার ফরিদ হাসান ও বেবী খাতুনের ছেলে আবিদ হাসান ফাহিম, ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড পাড়ার মো. আমানুল হক মালিক ও সাইদা সুলতানার ছেলে মো. সামাউল হক মালিক উৎস, ফার্ম পাড়ার মো. আবু নাসের ও মোছা. মমতাজ বেগমের ছেলে ছাব্বির আহমেদ প্রিয়ম, মসজিদ পাড়ার আবু বকর আরিফ ও আরজিনা শারমিনের মেয়ে আইরিন হোসেন, সবুজ পাড়ার মো. শরিফুল ইসলাম ও মোছা. লুৎফুন নাহারের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক শিপন।

 

যারা এ প্লাস পেয়েছে:

চুয়াডাঙ্গা সদরের বড়বাজার পাড়ার শ্যামল কুমার সাহার মেয়ে প্রান্তি সাহা, বাগান পাড়ার ইরফানুল বারী জোয়ার্দ্দারের মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা তৃষ্ণা, দৌলতদিয়াড়ের মো. ছমির উদ্দীনের ছেলে মো. তরুণ হোসেন, মুক্তি পাড়ার মো. নাজমুল হকের ছেলে তানজিম আহমেদ, বেলগাছি ঈদগাহ পাড়ার কাজী রফিকুল হকের ছেলে কাজী নূরে ইশরাক ইভান, দিগড়ীর মো. জমির উদ্দিনের ছেলে মো. সজীব হোসেন সজীব, হক পাড়ার মো. শাহাবুদ্দিনের ছেলে মো. সালিম সাদমান নিশাত, দামুড়হুদার মৃত জহুরুল হকের ছেলে মো. ইকবাল হোসেন, দৌলতদিয়াড়ের মো. আবুল কালামের ছেলে তারিক মাহমুদ আকাশ, চুয়াডাঙ্গা সদরের মাঝের পাড়ার মো. গোলাম সারোয়ারের মেয়ে জেরিন সালসাবিল কথা, গুলসান পাড়ার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে স্বপ্নীল আকাশ, দামুড়হুদা পোস্ট অফিস পাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে তানজিল হাসান, চুয়াডাঙ্গা সদরের পৌর কলেজ পাড়ার মোঃ আব্দুস সবুরের ছেলে মো. আবু সাঈদ সাদিদ সাকিব, বড় মসজিদ পাড়ার মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে মো. শাহরিয়ার তয়ন, দৌলতদিয়াড় সর্দার পাড়ার মোঃ ইয়াসিন আলীর ছেলে মো. আলমাস জ্বাকী সিয়াম, ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড পাড়ার মো. সরুজ্জামানের মেয়ে সাকিরা খাতুন, ঈদগাহপাড়ার হাফিজুর রহমান জোয়ার্দ্দারের মেয়ে সাবরিনা আক্তার ডরিস, রামনগর কলাবাড়ির মো. ইকরামুল হকের ছেলে মো. জান্নাতুল নাঈম লাম, চুয়াডাঙ্গা সদরের কানাপুকুরপাড়ার মো. আব্দুস সালামের ছেলে মো. মাসুম বিল্লাহ তানিম, কবরী রোডের আতিকুর রহমানের ছেলে তৌফিকুর রহমান, দামুড়হুদা হোগলডাঙ্গার মো. মুসা করিমের ছেলে মো. ইমরান আলী মেহেদী, চুয়াডাঙ্গা সদরের পোস্ট অফিস পাড়ার মঞ্জুরুল ইসলামের মেয়ে আফরিনা ইয়াসমিন মিলি, দৌলতদিয়ার দক্ষিণপাড়ার আহসান আলীর মেয়ে খাদিজা খাতুন, হাসপাতাল পাড়ার মো. ফজলে রাব্বির ছেলে মাহির ফয়সাল রাহী, সাদেক আলী মল্লিকপাড়ার দুলাল চন্দ্র হালদারের মেয়ে সুষ্মিতা হালদার, ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড পাড়ার শাহারিন হক মালিকের মেয়ে তাহসিন তারান্নুম, বাগান পাড়ার মো. সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে মো. রোমান্স মাহমুদ, ডিঙ্গেদহ বাজারপাড়ার জাকির হোসেন জোয়ার্দ্দারের মেয়ে জাকিয়া জোয়ার্দ্দার মিম।

যারা এক বিষয়ের জন্য এ প্লাস পায়নি

নাহিদ হোসেন অনিক, মো. ইউসূফ হোসেন, তাসনিয়া করিম খুকু, ফজলে রাব্বি সৌরভ, হোসনে আরা তমা, জাকিয়া আক্তার হিরা, যারিন তাসনিম এষা, সাফিয়া আফরিন জোয়ার্দ্দার তৃষ্ণা, নুসরাত সুমি, মোহাম্মাদ সোলাইমান, মাহবুব হক তন্ময়, নাহিদ ফারজানা সেহেরিন, সাজিদ হোসেন সাজিদ, আব্দুল্লাহ হোসেন আব্দুল্লাহ, আদিব জোয়ার্দ্দার।

Leave a comment