গাংনীর হাড়িয়াদহে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে দু সন্তানের জনকের নামে মামলা

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দু সন্তানের জনক ভোলা মিয়ার (৩৫) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রী।

অভিযোগে জানা গেছে, হাড়িয়াদহ গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে ভোলা মিয়া রাতের আধারে প্রতিবেশী এক ছাত্রীর বাড়িতে হানা দেয়। ঘরের বেড়া ভেঙ্গে প্রবেশ করে ছাত্রীকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। মেয়ের চিৎকারে তার মা পাশের কক্ষ থেকে এগিয়ে আসলে ভোলা পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে পাড়া প্রতিবেশীরা কয়েক দফায় চেষ্টা করেও মীমাংসায় ব্যর্থ হয়।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভোলা এর আগেও দুটি ঘটনা ঘটিয়ে এলাকায় বেশ আলোচিত হয়ে ওঠেন। দরিদ্র ওই ছাত্রীর সাথে এমন আচরণ করেও তিনি বহাল তবিয়তে বসবাস করছিলেন। গ্রাম্য সালিশ কিংবা ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনের কোনো আবেদনই তাকে টলকাতে পারেনি। লোক লজ্জার ভয়ে ছাত্রীর পরিবার মামলা করতে না চাইলেও ভোলা ও তার আশেপাশের কয়েক ব্যক্তির দাম্ভিকতায় তারা বাধ্য হন। এদিকে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনালে ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদি হয়ে ভোলাকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে তদন্ত পুর্বক মামলাটি রেকর্ড করতে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ দেন। আদালতের আদেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ওসি আকরাম হোসেন। এ বিষয়ে গাংনী থানার ওসি জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলতে শুরু করেছে। দ্রুত তদন্ত শেষ করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় ভোলাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে ছাত্রীর পরিবার।