চুয়াডাঙ্গায় বোরো মরসুমে ধান-চাল সংগ্রহের উদ্বোধনী দিনে ভালো মানের চাল না হওয়ায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ
স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গায় বোরো মরসুমে ধান-চাল সংগ্রহের উদ্বোধনী দিনেই ভালো মানের চাল না হওয়ায় ফেরতের নির্দেশ দিলেন জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা রেলগেট সংলগ্ন সরকারি খাদ্যগুদামে ৩০ মেট্রিক টন চাল দেখে তা নিম্নমানের হওয়ায় ফেরতের নির্দেশ দেন। এ সময় ওই চাল সরবরাহকারী চালকল মালিক নূরুল ইসলাম দ্রুত খাদ্যগুদাম এলাকা ত্যাগ করেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা খাদ্য অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত খাদ্যশস্য ক্রয় মরসুমের প্রথম দিনে জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল ওয়াহেদ, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুশফিকুর রহমান ও খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল হকসহ চালকল মালিকরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন খাদ্যশস্য ক্রয়ের প্রথম দিনেই খাদ্যগুদামে আসা সরোজগঞ্জের আব্দুর রহিম রাইচ মিলের মালিক জালাল উদ্দিন খোকনের ২৪৫ বস্তা চাল ও সরোজগঞ্জের মেহেদী রাইচ মিলের মালিক নূরুল ইসলামের একটি ট্রাকে ২০ মেট্রিক টন চাল বোমা (চাল বের করা যন্ত্র) মেরে বস্তা থেকে বের করে স্বচক্ষে চালের নমুনা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্যগুদাম থেকে চলে যান।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান জানান, ‘চাল ভালো না হওয়ায় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে তা ফেরত দেয়া হয়েছে। ভালো চাল পেলে তার উপস্থিতিতে কেনা হবে।’ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল ওয়াহেদ জানান, ‘চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকদের চালের নমুনা সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা দেয়া আছে। ভালো ও মানসম্মত চাল পেলে কেনা হবে।’ এ ব্যাপারে চালকল মালিক জালাল উদ্দিন খোকন জানান, ‘বিগত ১০ বছর যাবত নিজের মিলের চাল সরবরাহ করে আসছি। আগে কখনো এ ধরনের সমস্যা হয়নি।’ চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য বিভাগের হিসাবমতে চলতি বোরো মরসুমে চার উপজেলায় ছয় হাজার ১৯৪ মেট্রিক টন চাল ও এক হাজার ৪ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ৮০৯ মেট্রিক টন চাল, আলমডাঙ্গা উপজেলায় এক হাজার ২১৯ মেট্রিক টন চাল, দামুড়হুদা উপজেলায় ৪৯৭ মেট্রিক টন চাল ও জীবননগর উপজেলায় দু হাজার ৬৬৯ মেট্রিক টন চাল লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা।
অপরদিকে সদর উপজেলায় ১৯৩ মেট্রিক টন ধান, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩৮৪ মেট্রিক টন ধান, দামুড়হুদা উপজেলায় ২৫৬ মেট্রিক টন ধান ও জীবননগর উপজেলায় ১৭১ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি ধানের দাম ধরা হয়েছে ২২ টাকা।