মহেশপুরে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি

 

ওসিকে মোবাইলে দেখে নেয়ার হুমকি : থানায় জিডি

মহেশপুর প্রতিনিধি: মহেশপুরে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি, দ্রুত বিচার আইনে মামলাগ্রহণ করার কারণে ওসিকে মোবাইলে দেখে নেয়ার হুমকি, থানায় জিডি হয়েছে।

থানাসূত্রে প্রকাশ, মহেশপুরে সাপ্তাহিক সীমান্তবানী পত্রিকার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক গত ১৭ মে মহেশপুর উপজেলা পরিষদ রোডে একদল সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা করে। এই ঘটনায় মহেশপুর থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা হয়েছে। যার নং-১৮(৫)১৫। পুলিশ সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা নীল রঙের রেজিস্ট্রেশনবিহীন ১০০সি.সি ওয়ালটন মোটরসাইকেল জব্দ করেছে। মোটরসাইকেলটি মহেশপুর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মিন্টু তার নিজের বলে দাবি করেছে। এই ঘটনায় মহেশপুর থানার ওসিকে মোবাইলে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। ওসি শাহিদুল ইসলাম শাহিন জানায়, গত রোববার ৮টা ৬ মিনিটে ০১৭১২-২১২৫১৪ মোবাইল থেকে তাকে মামলার বিষয়ে আপত্তিজনক কথাবার্তা বলে এবং তাকে এখানে কীভাবে চাকরি করে তা দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তিনি থানায় একটি ডায়েরি নথিভুক্ত করেন। তিনি আরো জানান, খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছেন ওই নাম্বারটি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ময়জদ্দীন হামীদের। ১৮ মে দুপুরে এ বিষয়ে ময়জদ্দীন হামীদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ময়জদ্দীন হামীদ আরো জানায়, বর্তমান ওসি আ.লীগ ধ্বংসের চেষ্টা করছে, জামায়াত বিএনপির কর্মীদের নামে নাশকতা ও সন্ত্রাসীর যে সকল মামলা আছে দালাল নিয়োগ করে বাণিজ্য করছে। ওসি তার সাথে খারাপ আচরণ করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত আসামি আটক না হওয়ায় মহেশপুরে কর্মরত সাংবাদিকরা অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের আটকের দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে স্বেচ্ছাসেবকলীগের মিন্টু জানিয়েছেন, তার গাড়িটি পাশের দোকানে রাখা ছিলো। তার গাড়িটি ওই কাজে ব্যবহার করা হয়নি বলে সে দাবি করে। সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক জানায়, সে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, অবিলম্বে তিনি প্রধানমন্ত্রীর আশু-হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ঘটনার সময় সন্ত্রাসীদের হাতুড়ের আঘাতে আহত পথচারী নস্তী গ্রামের আনসার আলীর ছেলে নুর ইসলামকে যশোর থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ায় হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

অপরদিকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মফিজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গতকাল সন্ধ্যায় তিনি লাঙ্গলবাঁধ বাজারে যান। সেখানে যাওয়ার সাথে সাথে ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের বন্দেখালী ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি লাভলু মণ্ডল ও সন্ত্রাসী আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে একদল যুবক তার ওপর হামলা চালান। তারা লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাকে গুরুতর আহত করেন। পরে বাজারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

মফিজুল ইসলাম জানান, এসব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়েছে। কিন্তু এসব সংবাদের সাথে তিনি কোনোভাবেই জড়িত নন। তারপরও তাকে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন। এ হামলার ঘটনার পর শৈলকুপায় কর্মরত সাংবাদিকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। তাদের ১১ জন নিরাপত্তা চেয়ে শৈলকুপা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

Leave a comment