মেহেরপুর অফিস: বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি, মেহেরপুর জেলা ইউনিটের উদ্যোগে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় মেহেরপুর প্রেসক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি, মেহেরপুর জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন।
পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া সরকারি কলেজে এইচ.এস.সি পরীক্ষা চলাকালে সহকারী অধ্যাপক মোনতাজউদ্দীনের প্রতি একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনওর আচরণ এবং লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক সফিউদ্দীন রেজা মাহমুদকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার ও দণ্ড প্রদানের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আচরণ, দায়িত্ব, কর্তব্য সার্ভিস রুলস অনুসারে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। একজন সিভিল সার্ভেন্ট প্রজাতন্ত্রের সেবক মাত্র। তিনি যা করবেন তা কেবল সার্ভিস রুলস অনুসারেই করবেন। নির্মোহভাবে নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন সব কর্মকর্তা প্রফেশনাল এথিকসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সিভিল সার্ভস অনুযায়ী, একজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনকালে কোনোভাবেই ব্যক্তিগত আবেগ, জেদ, অহমিকা, দাম্ভিকতা প্রদর্শন করতে পারেন না। সে সুযোগ তাকে দেয়া হয়নি। ভাণ্ডারিয়ার ইউএনও, ম্যাজিস্ট্রেট যা করেছেন তা সর্বভাবে আইন ও নৈতিকতারিবোধী। তার আচরণ কেবল মধ্যযুগীয় নয়, আমাদের সংবিধানে প্রত্যেক মানুষের জন্য যে মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। তারও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কারো খেয়াল-খুশি মতো প্রশাসন, পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম চলতে পারেনা, চলতে দেয়া যায় না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশরাফুল আলম, মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার মেহেরপুর সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।