সিরিয়ায় পালমিরার দখল নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ : ৭৬ জন

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সিরিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী স্থান প্রাচীন পালমিরা নগরীতে গতকাল রোববার ইসলামিক স্টেটের একটি গ্রুপ হামলা চালালে দেশটির সরকারি বাহিনী ও মিলিশিয়ারা প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সিরিয়ান অবজারভেটরি অব হিউম্যান রাইটস জানায়, উত্তরাঞ্চলীয় আধুনিক তাদমুর নগরীর সংলগ্ন এলাকায় শনিবার রাতে ইসলামিক স্টেট হামলা চালালে অন্তত ৪৭ জন সরকার অনুগত সৈন্য এবং ২৯ জিহাদি নিহত হয়। ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা জানায়, ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত ঐতিহ্যবাহী স্থানটির কাছে নগরীর পশ্চিমে প্রবল গুলিবিনিময় হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাচীন নগরীটির সড়ক বা এর প্রথম ও দ্বিতীয় শতাব্দীর মন্দিরগুলোর কোনো ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। প্রাদেশিক গভর্নর জালাল বারাজি এএফপিকে বলেন, দামেস্কের উত্তর-পূর্ব দিকে মরুদ্যান শহরে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ার পর আইএস ফোরাত উপত্যকায় তাদের শক্তিশালী ঘাঁটি থেকে পূর্ব দিকে তাদের বাহিনী আনার চেষ্টা করছে। আইএস-এর হামলার কারণে স্বাভাবিক অবস্থায় ৭০ হাজার অধিবাসীর শহরটির জনসংখ্যা বিপুল পলায়নপর বেসামরিক নাগরিকের উপস্থিতির কারণে অনেক বেড়ে গেছে। বারাজি বলেন, ‘আমরা সকল পূর্ব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং নগরী থেকে গণহারে মানুষ পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আমরা মানবিক ত্রাণ বিলি করতে কাজ করছি।’ সিরিয়ার পুরাকীর্তি প্রধান মামুন আবদুল করিম পালমিরা নগরী ও এর লাগোয়া জাদুঘর নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইরাকের নমরুদ ও হাতরায় আইএস-এর ধ্বংসযজ্ঞের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি। আইএস সবকিছু উড়িয়ে দেবে। তারা সবকিছু ধ্বংস করে দেবে।’