পবিত্র শবেমেরাজ পালিত

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদায় পালিত হয়েছে পবিত্র ও মহিমান্বিত রজনী শবেমেরাজ। এ উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ সারাদেশে মসজিদ-মাদ্রাসা, খানকা-দরবার এবং বিভিন্ন ইসলামী ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল শবেমেরাজ পালনের আহ্বান জানিয়ে বায়তুল মোকাররমের সামনে মিছিল বের করে বাংলাদেশ সুন্নি আন্দোলন।

এছাড়া রেডিও-টেলিভিশনে পবিত্র রজনীর তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকারের মধ্যদিয়ে পুণ্যময় এ রাতটি অতিবাহিত করেছেন। মহানবী হজরত মুহাম্মদের (সা.) জীবনে ৬২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ রজব দিবাগত রাতে মেরাজ সংঘটিত হয়েছিলো। এ রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.) মহান আল্লাহ তায়ালার খাস রহমতে প্রথমে মক্কা মুকাররমার কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মোকাদ্দস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন। সেখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। এ সময় হজরত আদম (আ.) ও বিশিষ্ট নবীদের সাথে বিশ্বনবীর (সা.) সালাম ও কুশল বিনিময় হয়। তারপর তিনি সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হন। এ পর্যন্ত হজরত জিব্রাইল (আ.) তার সঙ্গী ছিলেন। পরে সেখান থেকে তিনি একা রফরফ নামক বিশেষ বাহনে সত্তর হাজার নূরের পর্দা অতিক্রম করে আরশে আজিমে মহান আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ করেন। ইসলামী চিন্তাবিদরা বলেন, এ সফরে উম্মতে মোহাম্মদির জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে নির্ধারিত হয়।

মেরাজের উপহার নামাজ ও তাওয়াজুহ- সৈয়্যদ মুনির উল্লাহ: কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরিফের মোর্শেদে আজম অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ বলেছেন, মহানবীর শ্রেষ্ঠতম একটি মুজেজা হল মেরাজ শরিফ, যা অন্য কোনো নবী-রাসুলকে আল্লাহ তায়ালা দান করেননি। এ মেরাজে আল্লাহ তায়ালার অতি কাছে গিয়ে প্রিয় নবী (দঃ) আল্লাহ পাকের কুদরতি তাওয়াজ্জুহ গ্রহণকরতঃ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সব জ্ঞানের অধিকারী হন। আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় হাবীবকে (দঃ) শ্রেষ্ঠ উপহার দান করেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।