তিতুদহের পর বেগমপুরের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল হকের বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি

অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট : আহত

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: তিতুদহে ইকলাছের বাড়িতে ডাকাতির একদিনের মাথায় চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বেগমপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল হকের বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মুখোশধারী ডাকাতদল বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৩ লাখ টাকা ২৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এলাকায় একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার অথবা কোনো মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি।

সরেজমিনে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ডিহিকৃষ্ণপুর গ্রামের পাচু মল্লিকের ছেলে বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল হকের বাড়িতে ১০-১২ জনের মুখোশধারী একদল ডাকাত পাঁচিল টপকে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতেরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখ জিম্মি করে নগদ ৩ লাখ টাকা ২৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় চেয়ারম্যানের ছেলে শান্তকে রামদার উল্টো পিঠ দিয়ে মারপিট করে আহত করে ডাকাতরা। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা একে একে চেয়ারম্যানের বাড়িতে ঢুকলে ৫ জনকে বেঁধে ফেলে ডাকাতরা। ৪০ মিনিট ধরে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে বাড়ির সবাইকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে চলে যায় ডাকাতদল। গত বৃহস্পতিবার রাতে একইভাবে তিতুদহ ইউনিয়নের লুৎফর রহমানের ছেলে ইকলাছের বাড়িতে অনুরুপ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। একদিনের মাথায় বেগমপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার অথবা ডাকাতি হওয়া কোনো মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি।

সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল হক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মালামাল গেছে তাতে আমি দুঃখ পাইনি। সরকার ভালোকাজের স্বীকৃতি হিসাবে ১৯৯৪ সালে আমাকে একটি সোনার মেডেল দিয়েছিলো সেটা নিয়ে যাওয়াতে বেশি কষ্ট লেগেছে।