গাংনীর বামন্দী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে খোলা আকাশের নীচে পাঠদান

গাংনী প্রতিনিধি: শ্রেণিকক্ষের টিনের ছাউনী না থাকায় খোলা আকাশের নীচে পাঠদান চলছে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বামন্দী নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। সামনে পরীক্ষা তাই প্রচণ্ড রোদ-বৃষ্টি সহ্য করে লেখাপড়া করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। গত ৪ মে ভোররাতে কাল বোশেখি ঝড়ে বিদ্যালয়ে টিনের ছাউনী উড়ে যাওয়ায় এই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্যদের সভাপতি আব্দুল আলিম জানান, ১৯৯৯ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ইট ও টিন দিয়ে অফিস ও ৩টি শ্রেণিকক্ষ তৈরি করে পাঠদান শুরু করা হয়। পরে নবম ও দশম শ্রেণির জন্য আলাদা দুটি কক্ষ নির্মাণ করা হয়। সরকারিভাবে কোনো অনুদান কিংবা নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়নি। গত ৪ মে ভোরে কাল বোশেখে ঝড়ে বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের টিনের ছাউনী উড়ে গেলে বিপাকে পড়েন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। তহবিল না থাকায় ও সরকারি অনুদান না পাওয়ায় খোলা আকাশের নীচে বাধ্য হয়েই পাঠদান করতে হচ্ছে। সামনে পরীক্ষা তাই নানা বিড়ম্বনার মধ্যেও শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছেন। রোদ ও বৃষ্টিতে ভিজে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিম উদ্দীন জানান, শিক্ষার মানোন্নয়নে এলাকাবাসীর সহায়তায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হলেও সরকারি কোনো অনুদান আজো পাওয়া যায়নি। প্রথমে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এমপিওভযক্তি হলেও পরে নবম ও দশম শ্রেণির একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়া যায়। শিক্ষকরা একরকম স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করানো হয়। বিদ্যালয়ের সামর্থ না থাকায় এখন খোলা আকাশের নীচে পাঠদান চলছে। আশপাশে কোনো গাছ নেই যার নীচে পাঠদান করানো সম্ভব। আবার মেঘ দেখলে বিদ্যালয়টি ছুটি ঘোষণা করতে হয়।

দশম শ্রেণির ছাত্রী মৌসুমী আকতার জানান, সামনে পরীক্ষা তাই খোলা আকাশের নীচে আবার পাশের জমির গাছের ছায়ায় ক্লাস করতে হচ্ছে। রোদে ও গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এতে সিলেবাস শেষ করা যাচ্ছে না। সরকারি সহযোগিতা না পাওয়ায় ও বিদ্যালয় তহবিলে কোনো টাকা না থাকায় এটি মেরামত করতে পারছেন না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে শ্রেণিকক্ষ মেরামতের জন্য আর্থিক অনুদান চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করলেও কোনো সাড়া মেলেনি।