স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি : ভাবীকে ধর্ষণ করায় ছোট ভাইকে হত্যা
হরিণাকুণ্ডু প্রতিনধি: হরিণাকুণ্ডুতে বহুল আলোচিত কলেজছাত্র কামরুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত আসামি অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি আর কেউ নন নিহতের বড় ভাই নাজমুল। তান স্ত্রী শারমীনকে ছোট ভাই কামরুজ্জামান ধর্ষণ করে। এর জের ধরে ক্ষোভে আপন ছোট ভাইকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন নাজমুল। গতকাল শুক্রবার আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে গ্রেফতারকৃত নাজমুল ইসলাম হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন। ঝিনাইদহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালতে সহোদর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল কবীর চৌধুরী জানান, কামরুজ্জামান হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হরিণাকুণ্ডু থানার এসআই মিজানুর রহমান শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালান। তিনি উপজেলার কালাপাড়িয়া গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে নাজমুলকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতার হওয়ার পর নাজমুল নিজ সহোদর কলেজছাত্র কামরুজ্জামান হত্যাকাণ্ডে নিজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে ঝিনাইদহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালতে জবানবন্দি দেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ মে বৃহস্পতিবার হরিণাকুণ্ডুর ভেড়াখালী গ্রামের শরিফুল ইসলামের কলেজপড়ুয়া ছেলে কামরুজ্জামানকে নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা পরদিন হরিণাকুণ্ডু থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার পর থেকেই পুলিশ প্রকৃত হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে ব্যাপক তৎপরতা অব্যাহত রাখে। ঘটনার ৮ দিনের মাথায় হত্যায় জড়িত নিহতের বড় ভাই নাজমুলকে গ্রেফতার করা হয়।