দুজনের দেড় হাজার ও হোটেলে ৪ হাজার টাকা জরিমানা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীদের সাথে প্রতারণার অপরাধে দুজনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় পার্শ্ববর্তী একটি খাবারের হোটেলকেও জরিমানা করেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতাল চত্বরে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
আদালতসূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে রোগীদের কম টাকায় চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করে দেয়া এবং কম মূল্যে ওষুধ কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কতিপয় যুবক দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। তারা নির্দিষ্ট কিছু ক্লিনিক ও ফার্মেসিতে রোগীদের নিয়ে যায়। তারা ওই সব ফার্মেসি ও ক্লিনিকের মালিকের কাছ থেকে কমিশন নিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে রোগীদের কাছ থেকে অনেক বেশি খরচ নিয়ে তাদের নিম্নমানের চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি গ্রামের নজরুল ইসলাম নজুর ছেলে রিংকু ও ইসমাইল হোসেনের ছেলে মনিরুল ইসলাম হাসপাতাল থেকে রোগীদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিভ্রান্ত করছিলো। এ সময় সদর থানা পুলিশের এএসআই কৃষ্ণপদ সমর্দ্দার তাদেরকে আটক করেন। পরে সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রোগিদের বিভ্রান্ত করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অপরাধে রিংকুকে দণ্ডবিধির ২৯১ ধারায় ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সাথে অপর আসামি মনিরুল ইসলামকে একই ধারায় ৫শ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। অভিযুক্তরা জরিমানার টাকা তাৎক্ষণিক পরিশোধ করে মুক্ত হয়। এ সময় একই আদালত হাসাপাতাল এলাকার ইভা হোটেলে অভিযান চালান। হোটেলে পচা ও বাসি খাবার ফ্রিজে রেখে বিক্রি এবং খোলা অবস্থায় খাবার বিক্রির অপরাধে দণ্ডবিধির ২৬৯/২৭০ ধারায় হোটেল মালিক ইছাহক আলীকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। ইছাহক আলী জরিমানার টাকা তাৎক্ষণিক পরিশোধ করে মুক্ত হন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এএসআই কৃষ্ণপদ সমর্দ্দার।