ইবিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আসন্ন গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে শিক্ষার্থীরা গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল ও রমজানে ক্লাস পরীক্ষা চালু রাখার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাস কয়েক মাস বন্ধ ছিলো। এ সময় শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরাও গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ইতোমধ্যে অনুষদীয় ডিন, বিভাগীয় সভাপতিদের এ বিষয়ে মতামত নেয়া হয়েছে। তারা প্রায় সকলেই গ্রীষ্কাকালীন ছুটি বাতিলের পক্ষে মত দিয়েছেন। তাই সংশ্লিষ্ট সকলের মতামতের ভিত্তিতেই গ্রীষ্কালীন ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। উপাচার্য বলেন, অচিরেই বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। গ্রীষ্কালীন ছুটি বাতিল হলেও রমজানে ক্লাস পরীক্ষা চালু রাখার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হযনি বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, রমজানে ক্লাস পরীক্ষা চালু রাখার বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে রমজানের কিছু দিন যাতে চুড়ান্ত পরীক্ষা নেয়া যায় সেই বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। রমজানে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকরা চাইলে ওই সময় তাদের বিভাগুলোতে ক্লাস নিতে পারবে বলে তিনি জানান।

এদিকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ততে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আইন বিভাগের নিশান, বাংলা বিভাগের মেহেদী ও মনজুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানায়। আমরা আশা করবো, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রমজান মাসেও ক্লাস পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করবেন।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী ৩ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত পবিত্র শবে-বরাত ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি। এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে এক ছাত্র নিহতের জের ধরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ চার মাস পর গত ৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়। শিক্ষার্থীরা শুরু থেকেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন, দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের যে একাডেমিক ক্ষতি হয়েছে তা যেন আসন্ন গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করে রমজানে অতিরিক্ত ক্লাস পরীক্ষা নিয়ে ওই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যায়।