প্রমাণ হলো সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপহরণ করেনি

স্টাফ রিপোর্টার: আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেছেন, সালাহ উদ্দিনের সাথে তার স্ত্রী হাসিনা আহেমেদের কথোপকথনের মাধ্যমে এটা পরিষ্কার যে বিএনপির এ নেতাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপহরণ করেনি। দুপুরে পুলিশ সদর দফতরে সাংবাদিকদের কাছে আইজিপি এ মন্তব্য করেন। শহীদুল হক বলেন, নিখোঁজ হবার পর থেকেই তার সন্ধান করছিলো পুলিশ। বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে নাশকতার কয়েকটি মামলা আছে। মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছেন আদালত। তিনি কিভাবে ভারতে গেলেন তা খতিয়ে দেখা হবে। মঙ্গলবার সকালে সালাহ উদ্দিন আহমেদ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের একটি মানসিক হাসপাতাল থেকে তার স্ত্রীকে ফোন করেন। এরপর হাসিনা সাংবাদিকদের জানান, তার স্বামী শিলংয়ের মম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পয়লা বোশেখের নারী নিপীড়নের বিষয়ে আইজিপি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে চার-পাঁচটি ছেলে দু-তিনটা মেয়েকে শ্লীলতাহানি করলো। যাদের সামনে এ ঘটনা ঘটালো সেই পাবলিকরা তাদের কেন ধরলো না। প্রত্যেক নাগরিকের আইনগত অধিকার আছে, তাদের সামনে অপরাধ ঘটলে তারাই অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পারবে। এতে পুলিশের গ্রেফতার করা লাগতো না। ওই দিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র ইউনিয়নের নেতা লিটন নন্দীর কথা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করে আইজিপি বলেন, লিটন নন্দী একেক জায়গায় একেক ধরনের কথা বলেছেন। তবে লিটন নন্দীর কথা ধরে নিলেও দেখা যায়, পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। লিটন নন্দীর বক্তব্য, পুলিশ লাঠিপেটা করে দুটি মেয়েকে উদ্ধার করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাড়া করে দিয়েছে।

আইজিপি বলেন, তিন-চারটা ছেলে দুষ্টুমি করছে, মেয়েদের শ্লীলতাহানি করছে, কেউ এগিয়ে এলো না, বাকি লোক তাকিয়ে দেখলো। একটা লোকও তো বললো না, এ লোকটাকে তারা চেনেন। তারা তাদের বাড়ির পাশের। তিনি বলেন, গণমাধ্যমে পুলিশের পক্ষ থেকে সেদিনের ভিডিও ফুটেজ দেয়া হয়েছিলো, যাতে জনগণ তাদের সহযোগিতা করে। কিন্তু একটি লোকও তো তথ্য দিলেন না। এতে শুধু পুলিশকে দায়ী করলে হবে না।