উপজেলায় সংরক্ষিত নারী আসনের ভোট ১৫ জুন

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ১৫ জুন চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সংরক্ষিত আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ গঠনের পর এবারই প্রথম সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতদের মেয়াদ হবে মাত্র বছর খানেক। মঙ্গলবার রাতেই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হচ্ছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।

এ পর্যন্ত চারবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেয়াদ পূর্ণ করেছে তিনটি পরিষদ। কিন্তু কোনো নির্বাচিত পরিষদই সংরক্ষিত নারী সদস্য পায়নি। সংরক্ষিত আসনে এবার নির্বাচন হলে স্থানীয় এ সরকার ব্যবস্থাটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে।

আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর মেয়াদ থাকে জনপ্রতিনিধিদের। চতুর্থ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে গত বছরের শুরুতে ভোট হয় দেশজুড়ে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটের আগে পরিষদ ভেঙে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পদ হারাবেন উপজেলার প্রথমবারের মতো নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিরা।

এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী বলেন, এবারই প্রথম নারী সংরক্ষিত আসনে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোটের পর আবার নির্বাচিতদের নিয়ে উপজেলার নারী সদস্য পদের ভোট করতে হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চের দিকে থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে দেশের সাড়ে চার হাজার ইউপিতে ভোট হবে। সেক্ষেত্রে এবার মাত্র আট মাসের জন্যই প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন নতুন নারী সদস্যরা।

ভোটগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসির উপসচিব শামসুল আলম বলেন, আমরা সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছি। কমিশন রোজার আগেই এ নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সংরক্ষিত আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুন। চলতি মাসের (মে মাস) ২১ তারিখ মনোনয়নপত্র দাখিল। যাচাই ২৩ মে এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ মে।

২০১৪ সালে দেশের ৪৮৩ উপজেলায় সাত ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে সে সব উপজেলার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। কিন্তু বিধিমালা প্রস্তুত না থাকা, সীমানা নির্ধারণ ও সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা নির্ধারণ না হওয়ায়, সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন করতে পারেনি ইসি।

স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ-১৯৯৮) আইনের ৬ ধারায় ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচন করার বিধান আছে। দেশের সব উপজেলায় সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের পদ রয়েছে ১ হাজার ৫৭৭টি। এতে ভোটার রয়েছেন ১৪ হাজার ১২ জন। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হলেও পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন সংরক্ষিত মহিলা সদস্যরা।

গত বছর জানুয়ারিতে ছয় ধাপে দেশের মেয়াদোত্তীর্ণ উপজেলাগুলোয় ভোট হয়। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের জন্য সংরক্ষিত প্রতীকের মধ্যে রয়েছে- টেবিল, মোরগ, পেঁপে, বালতি, হরিণ, চাঁদ, ঢেঁকি, খরগোস, বক ও গিটার। এ ভোটে প্রার্থীরা ব্যক্তিগত ব্যয় দশ হাজার টাকা ও নির্বাচনী ব্যয় দশ হাজার টাকা নির্ধারণ করে গত ৫ এপ্রিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালায়ও সংশোধনী আনা হয়েছে।