প্রতারকচক্রের নতুন টাকার সাথে পরিবর্তন করার সময় টাকা খোয়ালেন আলমডাঙ্গার শহরের এক গ্রাহক

ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রতারকচক্র শনাক্তের চেষ্টা

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে পুরাতন টাকার সাথে নতুন টাকা বিনিময় করার সময় টাকা খোয়ালেন আলমডাঙ্গা শহরের জননী ইলেকট্রনিক্সের কর্মচারী। গত রোববার পূবালী ব্যাংক আলমডাঙ্গা শাখার ক্যাশ কাউন্টার থেকে উত্তোলিত ৬০ হাজার টাকা গুনে নেয়ার পর ব্যাংকের ওয়েটিং সোফায় বসে নতুন পুরাতন টাকা পৃথক করার সময় সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের খপ্পড়ে পড়েন তিনি।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা শহরের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জননী ইলেকট্রনিক্সের কর্মচারী আশরাফুল হক গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পূবালী ব্যাংক আলমডাঙ্গা শাখায় টাকা উত্তোলন করতে যান। উত্তোলিত ৬০ হাজার টাকা ক্যাশ কাউন্টার থেকে গুনে নিয়ে তিনি পেছনের ওয়েটিং সোফায় বসে ১শ টাকার বান্ডিল খুলে পুরাতন টাকাগুলো আলাদা করছিলেন। সে সময় সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে টাকা গুনতে থাকে। তারা ব্যাংকে টাকা জমা দেবেন জানিয়ে প্রস্তাব দেন পুরাতন টাকাগুলো তাকে দিয়ে তার নিকট থেকে নতুন টাকা নিতে। প্রতারকচক্রের ফাঁদে পা দিয়ে সরল মনে আশরাফুল হক টাকা পরিবর্তন করতে রাজি হয়। প্রথমে প্রতারকচক্র তাদের টাকা গুনে আশরাফুলের পাশে রেখে আশরাফুলকে টাকা গুনে দেয়ার জন্য তাগাদা দেয়। আশরাফুল টাকা গোনা শুরু করলে প্রতারকচক্র কৌশলের আশ্রয় নেন। তারা নানাভাবে আশরাফুলকে ব্যস্ত রেখে গোপনে দ্রুত তাদের গুনে রাখা বান্ডিল সরিয়ে নতুন বান্ডিল একই স্থানে রেখে দেয়। আশরাফুল নিজের পুরাতন টাকা বান্ডিল তাদের হাতে তুলে দিয়ে তাদের নতুন টাকার বান্ডিল নিয়ে দ্রুত ব্যাংক ত্যাগ করে চলে যায়। নিচতলার মার্কেটে গিয়ে পুনরায় টাকা গুনে দেখার সময় দেখেন শুভঙ্করের ফাঁকি। নতুন টাকার বান্ডিলে ওপর ও নিচে বড় অঙ্কের নোট দিয়ে ভেতরে ছোট অঙ্কের টাকার নোট কৌশলে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। আশরাফুল নিজের প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত ব্যাংকে ফিরে গিয়ে আর প্রতারকচক্রের কাউকে খুঁজে পাননি। ওই দিন ব্যাংকে প্রচণ্ড ভিড় ছিলো। তামাকচাষিদের টাকা, ডিপিএস’র কিস্তি দেয়ার দিন ছিলো। তাছাড়া ওই দিন হাটের দিন ছিলো। সব মিলিয়ে ব্যাংকে প্রচণ্ড ভিড় ছিলো।

প্রতারণার বিষয় সম্পর্কে ব্যাংক ব্যবস্থাপককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, থানা পুলিশসহ প্রতারিত ব্যবসায়ীকে ওই প্রতারণার ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ থেকে প্রতারকদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেক গ্রাহককে সেবা দিতে চেষ্টা করি। তাদের সব ধরনের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা করতে আমাদের কোনো কার্পণ্য নেয়। তবে প্রতারিত হওয়ার সাথে সাথে জানতে পারলে প্রতারকদের আটকের ব্যবস্থা নেয়া যেতো। ব্যাংকে কোনো প্রতারকচক্র যাতে সুবিধা করতে না পারে সে ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

Leave a comment