করিমনচালক কর্তৃক করিমনযাত্রী ৩ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ

স্বামীর বাড়ি দামুড়হুদার হোগলডাঙ্গা থেকে বাপের বাড়ি উত্তরচাঁদপুরে ফেরার পথে বিপত্তি

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: স্বামীর বাড়ি দামুড়হুদার হোগলডাঙ্গা থেকে করিমনযোগে বাপের বাড়ি উত্তরচাঁদপুরে ফেরার পথে ফাঁকা মাঠে নিয়ে মমিন (২৪) নামের এক করিমনচালক জোরপূর্বক করিমনযাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার করিমনযাত্রী ৩ সন্তানের জননী রেহেনা (৩৬) গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানায় হাজির হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মহাব্বত আলী ধর্ষণের শিকার ৩ সন্তানের জননী রেহেনাকে গতকাল সোমবার বিকেলে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে উত্তরচাঁদপুরের ইদ্রিস আলীর ছেলে অভিযুক্ত মমিন গাঢাকা দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার চিৎলা গুচ্ছগ্রাম এলাকায় ওই ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের বিল্লালের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী রেহেনা খাতুন গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে স্বামীর বাড়ি হোগলডাঙ্গা থেকে করিমনযোগে বাপের বাড়ি একই উপজেলার উত্তরচাঁদপুরে ফিরছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে করিমনটি দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের চিৎলা গ্রামে পৌঁছুলে করিমনচালক মমিন রেহেনাকে একা পেয়ে মাথায় কুবুদ্ধি আটে এবং অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য করিমনটি চিৎলা গ্রচ্ছগ্রাম অভিমুখে নির্জন রাস্তায় নিয়ে যায় এবং বলে গাড়ির তেল শেষ। এ সময় রেহেনা ওই করিমনচালক মমিনকে বলে ভাই তুমি আমাকে বাড়ি পৌছে না দিয়ে কোন রাস্তায় নিয়ে এলে। করিমনচালক মমিন তাকে জোর করে করিমন থেকে নামিয়ে টেনেহেঁচড়ে রাস্তার পাশের একটি বেড়ার মধ্যে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় অসহায় রেহেনা মমিনকে বলে তুই আমার ধর্মের ভাই। আমার এতোবড় ক্ষতি করিস না। মমিন তাকে হুমকি দিয়ে বলে কোনো কথা বলবি না এবং চিৎকার করলে জানে মেরে ফেলবো। অসহায় রেহেনা জীবন বাঁচাতে অনেকটা বাধ্য হয়ে নিজেকে সপে দেয় মমিনের কাছে। মমিন রেহেনাকে ধর্ষণ শেষে তাকে পুনরায় করিমনে করে উত্তরচাঁদপুরে নিয়ে যায়। রেহেনা বাড়ির সামনে পৌছানো মাত্রই মমিনকে চেপে ধরে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। এ সময় রেহেনার পরিবারের লোকজন ছুটে যায় এবং শুরু হয় গণধোলাই। মমিন গণধোলায় খেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। থানায় বেলা ১১টা পর্যন্ত সে হাসপাতালেই ছিলো। মামলা হওয়ার পরপরই মমিনকে গ্রেফতার করতে পুলিশ হাসপাতালে ছুটে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মমিন হাসপাতাল থেকে গোপনে পালিয়ে যায়। বর্তমানে সে গাঢাকা দিয়েছে। এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই ৩ সন্তানের জননীর ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গ্রামের কয়েক মাতবর সালিস বৈঠকের মাধ্যমে আপস-মীমাংসার নামে প্রহসনের পাঁয়তারা শুরু করে। গ্রামে বিচার না পেয়ে শেষমেষ গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে ধর্ষণের শিকার ৩ সন্তানের জননী রেহেনা দামুড়হুদা মডেল থানায় হাজির হন এবং মমিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

Leave a comment