সালাহ উদ্দিনকে ফিরিয়ে দিন

 

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আবারও দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে উল্লেখ করছি যে, সালাহ উদ্দিনকে রাজধানীর উত্তরা এলাকার একটি বাসা থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকেরা ধরে নিয়ে যাওয়ার পর দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তার পরিবারের এবং আমাদের সবার উৎকণ্ঠা দিন দিন গভীর হচ্ছে। আমরা বারংবার তাকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করে আসছি। তার স্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে বারবার আবেদন করছেন তার স্বামীকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সালাহ উদ্দিনকে নিয়ে নিষ্ঠুর কটাক্ষ করলেও তাকে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেননি। সালাহ উদ্দিনের বিষয়ে তার স্ত্রী থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়া হয়নি। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও তার সন্ধান আজও দেয়া হয়নি। বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে খালেদা জিয়া আরও বলেন, সালাহ উদ্দিন বিএনপির মতো একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের অন্যতম যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী। তার মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ নাগরিককে দীর্ঘদিন গায়েব করে রেখে যদি সরকার ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসন নির্বিকার থাকতে পারে তাহলে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায়? দেশে আইন ও প্রাতিষ্ঠানিকতা কি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে? কাউকে কি কখনো কোনো কিছুর দায় নিতে বা জবাবদিহি করতে হবে না?

খালেদা জিয়া বলেন, শেখ হাসিনার লাগাতার ই আমলে বিএনপির অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক এমপি ইলিয়াস আলী, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর চৌধুরী আলম, সাবেক সংসদ সদস্য, লাকসাম বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম হিরু ও হুমায়ুন কবির পারভেজ এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন ও সিলেটের ছাত্রনেতা ইফতেখার আহমদ দিদারসহ বিরোধীদলের বহু নেতাকর্মীকে বলপূর্বক গায়েব করে ফেলা হয়েছে। এসব নেতাকর্মী ও নাগরিকের স্বজনরা তাদের প্রিয়জনের ফিরে আসার প্রত্যাশায় উৎকণ্ঠার প্রহর যাপন করছেন। তারা জানেন না, তাদের নিখোঁজ স্বজনরা আটক অবস্থায় বিনা বিচারে হত্যার শিকার হয়েছেন কি না। খুনের শিকার হয়ে থাকলে সেই খুনের বিচার দূরে থাকুক, লাশটি পর্যন্ত পাননি। জানতে পারেননি মৃত্যুর তারিখটিও। সুযোগ পাননি প্রিয়জনের লাশ দাফন, কবর জিয়ারত কিংবা মৃত্যু দিবসে দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করার।

খালেদা জিয়া বলেন, সর্বস্তরে স্বেচ্ছাচারিতার বদলে আইনের শাসন ও প্রাতিষ্ঠানিক রীতিনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা হোক। আইনের প্রয়োগ, তদন্ত ও বিচারিক ক্ষেত্রে নৈরাজ্যের অবসান ঘটিয়ে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা হোক।