গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সাইফুজ্জামান শিপু, উপজেলা শ্রমিকলীগের সহসভাপতি মুনতাজুল ইসলাম ও ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মেহেরপুর গাংনীতে গতকাল রোববার দুপুরে স্ব স্ব সংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গাংনী ডিগ্রী কলেজে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাবিব।
জেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ সাগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গত ৭ মে গাংনীর আশরাফুল ইসলাম ভেন্ডারের স্ত্রী সাহানা ইসলামের দায়েরকৃত মামলায় মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সাইদুজ্জামান শিপুকে আসামী করা হয়। এটি মিথ্যা ও বানোয়াট। আশরাফুল ইসলামকে জামায়াত-বিএনপি ঘেঁষা দাবি করে তিনি আরো বলেন, তার স্ত্রী সাহানা হয়রানিমূলক এ মামলাটি দায়ের করেন। শিপুর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করা না হলে ছাত্রলীগ কঠোর আন্দোলন করবে বলেও হুঁশিয়ারি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো গাংনী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম রতনসহ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে গাংনী দোয়েল ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গাংনী উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গাংনীর আশরাফুল ইসলাম ভেন্ডারের স্ত্রীর সাহানা ইসলাম তার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে মর্মে গত ৭ মে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গাংনী উপজেলা শ্রমিকলীগের সহসভাপতি মুনতাজুল ইসলাম ও ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাককে আসামি করা হয়। ঘটনার দিন কোনো হামলা না হলেও পরিকল্পিতভাবে তিনি শ্রমিক নেতাদ্বয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাটি করেন। অনতিবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
গাংনী উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সহসভাপতি হাফিজুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিকলীগ গাংনী উপজেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক সাফিরুল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাজেদ আলী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গাংনীর স্ট্যাম্পভেন্ডার ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলামের বাড়িতে হামলার অভিযোগে তার স্ত্রী বাদী হয়ে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগসহ ১৮ জনের নামে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি এজাহারভুক্ত করার জন্য গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দেন।