শেষটা ভালো হলো না টাইগারদের

স্টাফ রিপোর্টার: প্রবাদ আছে- ‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত শুরু করেও শেষটা ভালো করতে পারলো না স্বাগতিক বাংলাদেশ। সফরের ও সিরিজের শেষ ম্যাচটি খুবই বাজেভাবে হেরেছে টাইগাররা। এজন্য দায়টা নিজেদের ওপরই নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তারপরও শেষটা ভালো না হবার পরও দলের সকলের প্রশংসা করলেন মুশফিকুর। বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ সফরে এসে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি উভয় সিরিজেই হোয়াইট ওয়াশ হওয়া পাকিস্তান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে নিয়েছে। টেস্টের একদিন বাকি থাকতেই শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ৩২৮ রানের বিশাল জয়ে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা খুঁজে পেয়েছে মিসবাহবাহিনী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছে প্রথম টেস্টে ৮৩ ও দ্বিতীয় টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করা আজহার আলী। তার নেতৃত্বেই পাকিস্তান ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলো।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরে যায় সফরকারীরা। ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই হেরে গিয়েছিলো একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও। কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পায়নি টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচেও। খুলনা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে রেকর্ডগড়া উদ্বোধনী জুটি গড়ে পাকিস্তানকে জয়বঞ্চিত করেছিলেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। খুলনা টেস্টের প্রথম ইনিংস শেষেও বাংলাদেশ পড়েছিলো চাপের মুখে। পিছিয়ে ছিলো ২৯৬ রানের বড় ব্যবধানে। কিন্তু সেখান থেকেই দারুণ দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়িয়ে টেস্টটা ড্র করেছিলো স্বাগতিকরা। ঢাকায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও খুলনা থেকেই অনুপ্রেরণা খুঁজেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কিন্তু এবার আর সফল হতে পারেনি মুশফিকবাহিনী। ৫৫০ রানের দুরূহ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। ১ উইকেটে ৬৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরুর পর প্রথম আট ওভার নির্বিঘ্নেই কাটিয়েছিলেন আগের দিনের দু অপরাজিত ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও মুমিনুল।

কিন্তু নবম ওভারে আঘাত হানেন ইমরান খান। আউট করেন ৪২ রান করা তামিমকে। তিন ওভার পরে মাহমুদউল্লাহ মাত্র ২ রান করে ইমরান খানের শিকারে পরিণত হন। এবার বাংলাদেশি সমর্থকদের স্বপ্ন জড়ো হয় প্রথম ইনিংসে ৮৯ রানে অপরাজিত থাকা সাকিবকে ঘিরে। কিন্তু মোহাম্মদ হাফিজের বল তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ধরা পড়েছেন ওয়াহাব রিয়াজের হাতে। প্রথম ইনিংসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে ইয়াসির শাহর বলে বোল্ড হয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। প্রথম ইনিংসে ১২ রান করলেও এবার শুন্য রানে ফিরে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি। সৌম্য সরকার ও মুমিনুলকে আউট করেছেন ওয়াহাব রিয়াজ ও ইয়াসির। সৌম্য ফিরেছেন মাত্র ১ রান করে। শেষ পর্যায়ে শুভাগত হোম ৩৯ রান করে দর্শকদের কিছুটা আনন্দের জোগাড় করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেননি। জুনায়েদ খানের ইয়র্কারে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হয়ে গেলে ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। অসুস্থতার জন্য শাহাদাত আর মাঠে নামতে পারেননি।

ঢাকা টেস্টের পুরোটাই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথম দিনেই হাঁটুতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন পেসার শাহাদাত হোসেন। ফলে গুরুত্বপূর্ণ একজন বোলারের সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ।