বিচার প্রার্থীরা যাতে হয়রানি না হন সেটাই বিচার বিভাগের মূল লক্ষ্য

চুয়াডাঙ্গা জেলা জজশিপের সম্মেলনকক্ষে ত্রৈমাসিক বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে

জেলা ও দায়রা জজ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ শিরীন কবিতা আখতার বলেছেন, বিচার প্রার্থীরা যাতে হয়রানি না হন এবং মামলা যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয় সেটাই বিচার বিভাগের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদেরকে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় জেলা জজ আদালতের সম্মেলনকক্ষে ত্রৈমাসিক বিচার বিভাগীয় সম্মেলনের সভাপতির বক্তব্যে জেলা ও দায়রা জজ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ নাজির আহমেদ, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হক, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী, ৬ বিজিবির উপপরিচালক মেজর আনোয়ার জাহিদ, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. মাসুদ রানা, গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাবুদ পারভেজ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মিলন কুমার মুখার্জী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল ওহাব মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম, জিপি মোল্লা আব্দুর রশিদ ও পিপি মহ. শামশুজ্জোহা। উপস্থিত ছিলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার (ম্যাজিস্ট্রেট) ফারজানা খানম, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ ইয়ারব হোসেন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ আব্দুর রহিম, সহকারী জজ সাজ্জাদুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিম, সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুফি উল্লাহ ও অতিরিক্ত পিপি আবুল বাশার। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মোহা. আমীনুল ইসলাম।

সম্মেলনে জেলা ও দায়রা জজ শিরীন কবিতা আখতার আরো বলেন, ১৬৪ ধারায় সাক্ষ্যগ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট, মেডিকেল অফিসার ও তদন্তকারী কর্মকর্তারা সাক্ষী দিতে না আসায় মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘ সূত্রতা হয়ে থাকে। তারা যদি সাক্ষীর সমন পাওয়ার পরও আদালতে না আসেন, তাহলে ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে। এপিপিদের বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ বলেন, যে সকল এপিপি আদালতে দৃশ্যমান হবেন, কেবলমাত্র তাদের বিলের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান তার বক্তব্যে বলেন, অনেক সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামির স্থায়ী ঠিকানায় গিয়ে কোনো কিছুর অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। এতে আসামি ধরতে পুলিশকে নানামুখি হয়রানি হতে হয়। এছাড়া মালখানায় পড়ে থাকা গাড়িসহ মালামাল ও মামলার আলামত বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি।

চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হক বলেন, মাদকদ্রব্য আইনের শতাধিক মামলার আওতায় উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ধ্বংসের জন্য শতাধিক জিডির ফটোকপি পড়ে আছে। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ নাজির আহমেদ বলেন, আমার কোর্টে এপিপি আছেন তিনজন। কিন্তু দায়িত্ব পালন করেন মাত্র একজন। এ আদালতে যে সকল মামলা রয়েছে, ওইসব মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মেডিকেল অফিসাররা না এলে মামলা কীভাবে নিষ্পত্তি হবে? পুলিশের সহযোগিতার অভাবে ৫০-৬০টি মামলা ঝুলে আছে। সম্মেলনে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অবকাঠামো ও আসবাবপত্রের সঙ্কটের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয় এবং তা দ্রুত সমাধানের জন্য গণপূর্ত বিভাগকে অবগত করা হয়।