আলমডাঙ্গার রোয়াকুলি থেকে গরুচোর সন্দেহে একজন আটক : চোর ও গরু মালিকপক্ষের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের রোয়াকুলি গ্রামের কলেজপাড়া থেকে গরুচোর সন্দেহে রোয়াকুলি গ্রামের আকমানকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী। আকমানকে নিয়ে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে আসার সময় তার লোকজন পুলিশের কাছে থেকে ছিনিয়ে নিতে চাইলে দু পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।

গ্রামসূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আলমডাঙ্গার রোয়াকুলি গ্রামের কলেজপাড়ার মৃত আইনালের ছেলে ইসমাইলের একটি গরু ও দুটি বাছুর তার বাড়ি থেকে চুরি হয়ে যায়। গ্রামের মাঠের মধ্যে খুঁজে না পেয়ে বাড়ির আশপাশে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এ সময় একই গ্রামের মৃত আনছারের ছেলে আকমানকে (৪৫) মান্নানের বাড়ির পাশে গরু রেখে ঝোঁপের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী। এ সময় গরুচোর সন্দেহে তাকে আটক করে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। সংবাদ পেয়ে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ ইনচার্জ জগদীশ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে আটক করেন। পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় আকমানের লোকজন পুলিশকে বাধা দেয়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। দু পক্ষের ধস্তাধস্তিতে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি ইনচার্জ পায়ে আঘাত পেয়ে আহত হন বলে জানা গেছে। রাত ৯টার দিকে তাকে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে নেয়া হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ ফাঁড়িতে আকমান আটক ছিলো।

গ্রামবাসী জানায়, আকমানের বিরুদ্ধে এর আগেও গরু চুরির অভিযোগ রয়েছে। সে প্রকৃত গরু চুরির সাথে জড়িত কি-না, গরু চুরির সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কি-না পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে পুলিশ সূত্র জানায়। এছাড়া আকমানের সাথে প্রতিবেশী মান্নানের স্ত্রী ইসরনের সাথে পরকীয়া রয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। এর আগে ধরাও পড়ে সে। গতকাল সন্ধ্যায় পরকীয়া প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে গরু চোর সন্দেহে ধরা পড়েছে কি-না এ বিষয়ে রহস্য রয়েছে।