মুন্সিগঞ্জের রেললাইন থেকে লাশ উদ্ধার

আলমডাঙ্গার মাজহাদ গ্রামের রাজনের পরিবারের দাবি আত্মহত্যা

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার মাজহাদ গ্রামের কিশোর রাজন লাশ মুন্সিগঞ্জের রেললাইনের ওপর থেকে উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের দাবি, রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ ট্রেনে মাথা দিয়ে সে আত্মহত্যা করে। মুন্সিগঞ্জ-মোমিনপুর রেলস্টেশনের মাঝামাঝি খুদিয়াখালী বালির গর্তের নিটকবর্তী স্থানে গতকাল বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। রাজনের লাশ আত্মীয়স্বজনেরা জিআরপিকে না জানিয়েই রেললাইন থেকে নিজেরাই উদ্ধার করে বাড়িতে নেয়। মায়ের সাথে রাগারাগি করে রাজন আত্মহত্যা করে বলে পরিবার ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, গতকাল বুধবার সকালে রাজন (১৬) বাড়ি থেকে মায়ের ঝগড়া করে বের হয়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে রাজনের লাশ রেললাইনের ওপরে পড়ে থাকতে দেখে মাঠের লোকজন বাড়িতে খবর দেয়। ধারণা করা হচ্ছে সকাল ১০টার দিকে রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ ট্রেনে কেটে তার মৃত্যু হয়েছে। দুপরে তার নিকটজনেরা রাজনের লাশ মাজহাদ গ্রামে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সন্ধ্যায় তার দাফন করা হয় বলে চুয়াডাঙ্গা জিআরপির এসআই সেকেন্দার মোবাইলফোনে মাথাভাঙ্গাকে জানান। এলাকার কেউ কেউ জানিয়েছেন, রাজন কমলাপুর পিটিআইমোড় নিকটবর্তী মাধবীতলার একটি ওয়েল্ডিংকারখানায় কাজ করতো। পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে সে উত্ত্যক্ত করতো বলে স্কুলছাত্রীর অভিভাবকরা রাজনের মায়ের কাছে নালিশ করে। এ নিয়ে গতকাল সকালে ছেলে রাজনকে বকাবকি করেন মা রেহেনা বেগম। এরপরই রাজন আত্মহত্যা করে। দুপুর ১২টার দিকে নিহতের নানার পরিবারের লোকজন রাজনের লাশ কাঁধে করে কামারচরার মাঠ দিয়ে মাজহাদ গ্রামে নিয়ে যায়। বেলা ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জিআরপি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সেখানে লাশ না পেয়ে মাজহাদ গ্রামে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে। সন্ধ্যা ৬টায় লাশ জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

সূত্র জানায়, আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের মাজহাদ গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে রেহেনা বেগমের সাথে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের মিন্টুর বিয়ে হয়। বছর দশেক আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সেই থেকে ছেলে রাজন ও এক মেয়েকে নিয়ে পিতার বাড়ি মাজহাদ গ্রামের বসবাস করছেন রেহেনা। ছেলে রাজনই ছিলো রেহেনার ভবিষ্যত অবলম্বন।