বেগমপুর প্রতিনিধি: জমিজমা মামলার বাদী চুয়াডাঙ্গা সদরের ঝাঁঝরী গ্রামের কলমের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যু না কি হত্যা তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধ্রুম্রজালের। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ২৪ ঘণ্টা পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই ৩ লাখ টাকায় আপস-মীমাংসা করা হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঁঝরী গ্রামের আজির বক্স মণ্ডলের ছেলে কলম আলীর (৩৫) নিকট থেকে একই গ্রামের আলম ও তার ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিল গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষর জাল করে ৩ গণ্ডা ভিটে জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়। এ নিয়ে কলম তার ভাইপো হাবিলের নামে একটি মামলাও করে। গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে কলম আলীকে তার ভাইপো হাবিলসহ তার লোকজন শ্বাসরোধ করে হত্যার অপচেষ্টা চালায় বলে প্রথমে কলমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। কলমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর পরই হত্যার অভিযোগটি জোরালোভাবে তোলা হয়। এ নিয়ে চলতে থাকে দেন-দরবার। একপর্যায়ে আইনি জটিলতা এড়াতে গতকাল ৩ লাখ টাকায় আপস-মীমাংসা হলে বিকেল ৪টার দিকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই কলমের দাফন সম্পন্ন করা হয়। প্রশ্ন উঠেছে, প্রথমে কেন হত্যার অভিযোগ তোলা হলো? মীমাংসা হওয়ার পর কেন স্ট্রোক করে মৃত্যু হয়েছে বলে সুর পাল্টানো হলো?
স্থানীয়রা জানায়, প্রথমে হত্যার অভিযোগ করা হলেও আপস-মীমাংসা হওয়ার কারণে সে অভিযোগ থেকে সরে আসে কলমের পরিবারের লোকজন। তবে কলমের এ রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে যেমন সৃষ্টি হয়েছে ধ্রুম্রজালের তেমনি ২৪ ঘণ্টা লাশ নিয়ে দেন-দরবার করায় ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই মনির হোসেন বলেন, কোনোপক্ষের অভিযোগ না থাকায় পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।