গিয়াস উদ্দীন সেতু: ঝিনাইদহের মাঠে এখন সোনালি ফসল ধানের সোনা মাখা রঙ যেন ঝিলিক মেরে উঠছে মাঠের দিকে তাকালেই এ যেন এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ জন্ম নিয়েছে। তারপরেও কৃষকের মুখের হাসি ম্লান হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়ে পড়েছে। নতুন ধান বাজারে উঠেছে। ধানের লোকসান হবে বিঘাপ্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার বেশি এমন হিসাব মাগুরা পাড়া গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলামের। বীজতলার খরচ ১ হাজার টাকা, জমিচাষ ১ হাজার টাকা, রোপণ খরচ ১ হাজার টাকা, নিড়ানি খরচ ১ হাজার ২শ টাকা, সেচখরচ দু হাজার ৫শ টাকা, সার-কীটনাশক ৩ হাজার ৫শ টাকা, কাটা মাড়াই ২ হাজার ২শ টাকা এক বিঘা জমিতে খরচ হয় ১২ হাজার ৪শ টাকা। মাটিকুমড়া গ্রামের কৃষক আমির হোসেন জানান, নিজের শ্রম, জমির খেসারত ধরলে বিঘাপ্রতি খরচ দাড়াবে ১৮ হাজার টাকা।
গতকাল রোববার ডাকবাংলা ধানের বাজার ঘুরে দেখা গেছে ধান ৫৫০ টাকা ধেকে ৫৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। চিকন ধান বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৬৬৬ টাকা। সাধুহাটির কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, ধানের ফলন ভালো হলেও শ্রমের মজুরি ৩০০ টাকা থেকে ৩২০ টাকা মুজরি যার কারণে অন্য বছরের চেয়ে এ বছর লোকসান হবে অনেক বেশি, আমরা কাদের কাছে বলবো লোকসানের কথা। রাঙ্গিয়ারপোতার কৃষক রানা মিয়া জানান, অন্য বছর ধানের দাম বেশি পাওয়া যায়। এ বছর ধানের দাম কম। তাছাড়া ধানের বিচুলি বিক্রি করে লোকসান কিছুটা হলেও পূরণ হতো। কিন্তু এ বছর বিচুলি বিক্রি নেই। তাই লোকসানের পরিমাণ বেশি। চোরকোল গ্রামের কৃষক রাকিব উদ্দীন জানান, আমরা গ্রামের খেটে-খাওয়া মানুষ।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. খান মনিরুজ্জামান জানান, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করার কারণে ফলন ভালো হয়েছে।