বিষ্ণুপদর মৃতদেহ হবিগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ‘পাগলা বাবার বরাত দিয়ে বিষ্ণুপদ সাহা মোবাইলফোনে যা বলেছিলো তা অবিশ্বাস্য, বাজে কথা। সে পূর্ব থেকেই নানা অজুহাতে আত্মহত্যার হুমকি দিতো। সিলেট হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গতপরশু বিষ্ণুর মৃতদেহ নিজ বাড়ি চুয়াডাঙ্গা মাস্টারপাড়ায় নেয়ার পর পরিবারের সদস্যরাই এ এ মন্তব্য করে বলেছেন, রাস্তা পার হতে গিয়ে সে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের মাস্টারপাড়ার স্বর্গীয় কমল সাহার ছেলে বিষ্ণুপদ সাহা দু সন্তানের জনক। সে এক সময় ভালো ড্রাইভার হিসেবে পরিচিত ছিলো। ১০ চাকার ট্রাক চালানোর জন্য বিষ্ণু সিলেটে যায়। গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে সে তার বড় বৌদির কাছে মোবাইলফোনে বলে, পাগলাবাবা বলছে, বড়দা খুন হয়েছে। আমিও কিছুক্ষণপর মারা যাবো। এ কথা শুনে বড় বৌদি তাকে বাড়ি ফিরতে অনুরোধ করে। তার আর বাড়ি ফেরা হয়নি। ওইদিনই বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা-সিলেট সড়কের হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জে সড়ক পার হতে গেলে ট্রাকের ধাক্কায় আছড়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। তার মোবাইলফোন দিয়েই স্থানীয়রা দুর্ঘটনার খবর দেয়। হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এদিকে খবর পেয়ে পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তার নিকটজনেরা ছোটেন শায়েস্তাগঞ্জের উদ্দেশে। ওইরাতেই মৃতদেহ গ্রহণ করে। গত শুক্রবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছায়। ওইদিনই তালতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। বাড়িতে শোকের মাতম।