ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ১২ ঘণ্টা হরতাল

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পশ্চিমবঙ্গে সদ্য সমাপ্ত পৌর নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক সন্ত্রাস ও ভোট কারচুপির প্রতিবাদে বাম দলগুলোর জোট বামফ্রন্টও আজ বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে। একই দিন ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিজেপিও। গতপরশু মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, এ রাজ্যে বনধ বা ধর্মঘট হচ্ছে না। আর ২৪ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিপিআইএমের শ্রমিক সংগঠন সিটুসহ ১০টি বাম শ্রমিক সংগঠন। কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি এ ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে। সমর্থন করেছে এসইউসিআইসহ আরও কয়েকটি দল।

এদিকে এ বনধ বা হরতাল ও ধর্মঘট প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ধর্মঘট প্রতিহত করার জন্য তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসির নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের রাস্তায় নামতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা গতকাল বুধবার রাস্তায় নেমে পড়ে। বাম শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে নেতারা জানিয়ে দেন, ধর্মঘট হচ্ছেই। মানুষ এসে দাঁড়িয়েছে ধর্মঘটের পক্ষে। মানুষই প্রতিহত করবে সরকারি দলের ধর্মঘটবিরোধী কর্মকাণ্ডকে। এদিন সিপিআইএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, ওরা যদি যুদ্ধ চায়, যুদ্ধ হবে। যুদ্ধের ময়দানে আমরা আছি। এদিকে রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকার গতকাল এক নির্দেশিকায় জানিয়ে দিয়েছে, কোনো সরকারি কর্মী ধর্মঘটের দিন অফিসে অনুপস্থিত থাকেন তবে তাদের একদিনের বেতন কেটে নেয়া হবে। পাশাপাশি তাদের চাকরি একদিনের জন্য বিচ্ছিন্ন হবে। রাজ্য প্রশাসনের এ ভূমিকায় এটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে কাল (বৃহস্পতিবার) এ ধর্মঘট নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক অশান্তি ছড়াতে পারে।

এদিকে সিপিআইএমের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি গত সোমবার কোলকাতায় এসে তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাস মোকাবেলায় গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।