এহসান ইসলামী মাল্টিপারপাসের ফতোয়া বোর্ডের উপদেষ্টা মুফতি হালিমকে পাকড়াও

স্টাফ রিপোর্টার: গ্রাহকদের লগ্নিকৃত প্রায় দু হাজার কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়া এহসান ইসলামী মাল্টিপারপাসের ফতোয়া বোর্ডের উপদেষ্টা মুফতি হালিমকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজারহাট এলাকার একটি মসজিদের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। এছাড়া আরও একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে থানা সূত্র জানিয়েছে।

লভ্যাংশের প্রলোভন দেখিয়ে গত কয়েক বছরে এ অঞ্চলের মানুষের কাছ থেকে এহসান ইসলামী মাল্টিপারপাস এবং এহসান ইসলামী রিয়েল এস্টেট হাতিয়ে নেয় দু হাজার ৪শ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বিশাল অঙ্কের ওই টাকা হাতিয়ে গা ঢাকা দেয় পাঁচ এমডিসহ ১২ কর্মকতা। এদের মধ্যে মাগুরা জেলার বাসিন্দা প্যানেল এমডি আতাউল্লাহ, যশোর রাজারহাটের বাসিন্দা প্যানেল এমডি মুফতি ইউনুছ আহমেদ, মাগুরা জেলার বাসিন্দা এমডি রবিউল ইসলাম, এমডি জোনায়েত, এমডি আইয়ূব আলী, ম্যানেজার টিটু, জোনাল ম্যানেজার যশোর শাখার খবিরুজ্জামান খবির, ফতোয়া বোর্ডের উপদেষ্টা মুফতি জব্বার, ফতোয়া বোর্ডের উপদেষ্টা রাজারহাটের মুফতি আব্দুল হালিম, ঢাকা অফিসের ডিরেক্টর জেনারেল মুফতি আমিনুল, যশোর শহরের পূর্ব বারান্দিপাড়া মাঠপাড়ার লোকমান ও যশোর অফিসের ম্যানেজার বিপুল রয়েছে। ওই ১২ জনের মধ্যে ২৭ এপ্রিল রাজারহাটের  জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার সামনে থেকে পকড়াও করা হয় প্যানেল এমডি মুফতি ইউনুসকে। ইউনুসকে আটকের একদিন পর ২৮ এপ্রিল রাজারহাটের একটি মসজিদের সামনে থেকে আটক করা হয়েছে ফতোয়া বোর্ডের উপদেষ্টা মুফতি আব্দুল হালিমকে। মুফতি হালিম এ অঞ্চলের মানুষের বিশাল অঙ্কের টাকা পকেটস্থ করে সটকে পড়ে। অফিস গুটিয়ে নেয়ার সময় হালিম ফতোয়া জারি করে সব টাকা ঢাকা অফিসে রয়েছে। আবার কয়েকশ কোটি টাকা সম্পদ কেনা আছে যা বিক্রি করে একেএকে সবার টাকা শোধ হবে। কিন্তু সবই তার ধুয়ো বলে ফাঁস হয়ে পড়ে। আর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। সম্প্রতি এলাকায় ফিরলে সিভিল টিমের পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নেয়।

এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইন্চার্জ সিকদার আককাছ আলী জানান, মুফতি আব্দুল হালিম একজন আলোচিত প্রতারক। তার বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত তিনটি মামলা রয়েছে। আরও একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। বিশাল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করে নিজে লাভবান হয়ে শ শ লগ্নিকারীকে পথে বসিয়েছে এই হালিম গং। ওই চক্রের সবাইকে আটক করা হবে একে একে।