গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিলো জনতা
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা শহরের ফেরিঘাট রোড থেকে আলমসাধু চুরি করে পালানোর সময় আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ মদনবাবুর মোড় থেকে হাতেনাতে ধরা পড়েছে একরামুল। তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। চুরির কথা অকপটে স্বীকার করেছে আলমসাধু চোর সিন্ডিকেটের সদস্য আলমডাঙ্গা রুইথনপুরের একরামুল। আনারুলের ওরফে সোলোর এলাকার মোটরসাইকেল, আলমসাধু, গরু চোর সিন্ডিকেটের হোতা বলে সে জানিয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের আরেফিনের ছেলে জুয়েল নিজের আলমসাধুটি চুয়াডাঙ্গা ফেরিঘাট রোডের পাশে রেখে নিচের বাজারে যায়। এ সময় সুযোগ বুঝে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের রুইথনপুর গ্রামের জসিমের ছেলে একরামুল (২৫) আলমসাধুটি নিয়ে চম্পট দেয়। আলমসাধু মালিক টের পেয়ে পেছন থেকে ধাওয়া করলে একরামুল দ্রুত আলমসাধু নিয়ে সটকে পড়ে। মোবাইলফোনের মাধ্যমে চুরির ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে মুন্সিগঞ্জের কিছু যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে মুন্সিগঞ্জ মদনবাবুর মোড়ে অবস্থান নেয়। পিছু পিছু আলমসাধু মালিক জুয়েল ও তার লোকজন মোটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া করে। বেলা ১২টায় চোর একরামুল চোরাইকৃত আলমসাধু নিয়ে মুন্সিগঞ্জ বাজারে আসে। এ সময় যুবকরা তাকে থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সে শরিফ নামের একজনকে চাপা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মুন্সিগঞ্জ এলাকার লোকজন তাকে তাড়িয়ে ধরে আটক করে। এরপরা তাকে দেয়া হয় গণধোলাই। খবর পেয়ে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই মিজান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে একরামুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সে অকপটে চুরির কথা স্বীকার করে জানায়, চিৎলা গ্রামের আনারুল ওরফে সোলো এই আলমসাধু, মোটরসাইকেল ও গরু চোরের হোতা। তার কথামতো আলমসাধু চুরি করি।