গাংনীতে এমপি ও আশরাফুল পক্ষের পৃথক দুটি মামলা দায়ের : আটককৃত ৪২ জন জেলহাজতে

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের বাড়িতে হামলা ও স্ট্যাম্পভেন্ডার ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম পক্ষের গোলাম হোসেনের ওপর হামলার বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার গাংনী থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। গত রোববার রাতে আটককৃত ৪২ জনের মধ্যে ৭ জনকে ওই মামলায় এবং বাকিদের ১৫১ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের আদেশে গতকালই তাদেরকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে গাংনী থানাসূত্রে জানা গেছে।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, রোববার দুপুরে এমপি মকবুল হোসেনের বাড়িতে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় তার চাচাতো ভাই খোরশেদ আলম বাদী হয়ে গতকাল বিকেলে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আশরাফুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত আরো ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলার আসামি হিসেবে আশরাফুল ইসলামসহ তার এক কর্মীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

অপরদিকে সোমবার রাতে আশারাফুল ইসলামের সমর্থক কাঠমিস্ত্রি গোলাম হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোলাম হোসেনের ফুফাতো ভাই আব্দুস সালাম বাদী হয়ে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক চাল ব্যবসায়ী মজিরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের নামে মামলাটি দায়ের করেন। গত রোববার আটক ময়হকসহ সাতজন এ মামলাটির এজাহার নামীয় আসামি। তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গোলাম হোসেন বর্তমানে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রোববার সন্ধ্যার ঘটনায় এমপি ও আশরাফুল ইসলাম পক্ষের মোট ৪২ জনকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে দুটি মামলার আসামি হিসেবে সাতজন ও বাকিদের ১৫১ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের আদেশে গতকালই তাদেরকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত তাদের জামিন আবেদন করেননি স্বজনরা। আজ উভয়পক্ষ থেকে পৃথকভাবে আদালতে জামিনের আবেদন করা হবে বলে জানা গেছে।

গাংনী থানার ওসি আরো জানান, সরকার ও পুলিশের হাইকমান্ড থেকে গাংনীর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাই রোববার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া আটক অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে। যেকোনো মূল্যে গাংনীর সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা হবে হুঁশিয়ারি করে তিনি আরো বলেন, বিশৃঙ্খলা কিংবা নাশকতা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।