আলমডাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা

হেলপারসহ প্রায় ৩০ যাত্রী আহত

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার উত্তরা ফিলিং স্টেশনের নিকটবর্তী বাইপাস সড়কে মায়ের দোয়া নামক এক যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোডের পাশের গাছে ধাক্কা খেয়ে হেলপারসহ প্রায় ৩০ জন যাত্রীর সকলেই কম-বেশি রক্তাক্ত জখম হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা থেকে ছেড়ে যাওয়া কুষ্টিয়াগামী ওই বাসটির ড্রাইভার বিপরীত দিক থেকে ছুটে আসা এক আলমসাধুকে সাইড দিতে গিয়ে বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ড্রাইভার বাসের জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান বলে হেলপার জানিয়েছেন।

জানা গেছে, গতকাল বিকেল ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া মায়ের দোয়া নামক যাত্রীবাহী বাস (খুলনা-জ-২-০৪-০০১৬)। সাড়ে ৪টার দিকে আলমডাঙ্গার উত্তরা ফিলিং স্টেশনের নিকটবর্তী বাইপাস সড়কে পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে ছুটে আসা একটি আলমসাধুকে সাইড দিতে গেলে বাধে বিপত্তি। সাইড দেয়ার পর ড্রাইভার আর বাসটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি বলে হেলপার জানিয়েছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা টের পেয়ে ড্রাইভার চুয়াডাঙ্গার কলাবাড়ির মামুন বাসের স্টেয়ারিং ছেড়ে জানালা দিয়ে লাফিয়ে পালিয়ে যান। ওই সময় ড্রাইভারবিহীন বাসটি রোডের পাশের গাছে গিয়ে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা লাগে। প্রচণ্ড ধাক্কায় বাসের সামনের অংশ চিরে গাছ বেশ খানিকটা ঢুকে যায়। এ সময় হেলপার কুষ্টিয়ার মসানপাড়ার দাউদ শেখের ছেলে আশিকসহ প্রায় ৩০ যাত্রীর সকলেই কম-বেশি রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। এ ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে যাত্রীদের তেমন কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের বেশির ভাগকেই উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। শুধু হেলপার আশিকসহ কয়েকজন যাত্রীকে আলমডাঙ্গার ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। হেলপারের একটি পা ভেঙে গেছে। তাকে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া মুন্সিগঞ্জের জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী সালমা আক্তার দীপাকে, তার ৮ বছরের মেয়েকে ও জখম অবস্থায় উদ্ধার করে একটি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়েছে। সুমন ডিলাক্সের ড্রাইভার আশরাফুল আলমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।