এই তো ক’দিন আগেই সেখানে শুটিং করে এসেছিলেন তাঁরা৷ নেপালের পোখরায় রাজ চক্রবর্তীর ‘কাটমুন্ডু’ ছবির শুটিংয়ে হইহই করে কেটে গিয়েছিল অনেকটা সময়৷ আজ প্রকৃতির রোষে সে সবই ধ্বংসস্তূপ৷ বিধ্বংসী ভূমিকম্প এসে নেপালকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে৷ দূর পর্তুগালে বসে ছবির শুটিংয়ের সেই সব দিনগুলো মনে করলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী৷
এক বন্ধুর বিয়েতে কিছুদিন আগে পর্তুগালে গিয়েছেন রাজ, মিমি৷ গত ২৩ এপ্রিল রাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান তাঁর ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার কথা৷ ২৬ তারিখ ছিল বিয়ের দিন৷ তার আগের দিনই বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ধুলিসাৎ হয়ে যায় নেপালের বহু বিখ্যাত নিদর্শন, স্থাপত্য কীর্তি৷ মৃত্যুমিছিল বাড়তে থাকে৷ দূরে থেকেই সে খবর পান রাজ ও মিমি৷ একদিকে বন্ধুর বিয়েতে প্রথমবার ক্যাথলিক ম্যারেজে সাক্ষী হওয়া, অন্যদিকে মাত্র ক’দিন আগেই যেখানে শুটিং করে এসেছেন, তা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মতো বেদনাদায়ক খবর-দূরে থাকলেও ভারাক্রান্ত করেছে রাজ ও মিমিকে৷ ঐতিহাসিক ‘দরবার’ স্কোয়ারে শুটিং করেছিলেন তাঁরা৷ তা আজ ইট-কাঠ পাথরের স্তূপ মাত্র৷ শুটিংয়ের সেই স্মৃতি জানিয়ে মিমি জানিয়েছেন, তিনি ‘আপসেট’৷
‘কাটমুন্ডু’ ছবিতে অভিনয় করেছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, সোহম চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী প্রমুখ৷ বাংলা ছবিতে প্রথমবার নায়িকাদের প্যারাগ্লাইডিংয়ের শুটও হয়েছিল নেপালে৷ এমনিতে ছবিতে নানা মজার ঘটনা আছে৷ তাই শুটিংয়ে কাজের পাশাপাশি অনেক মজার স্মৃতিও আছে কলাকুশলীদের৷ সে সব আজ শুধুই স্মৃতি৷ রুষ্টপ্রকৃতি বাঁচিয়ে রাখেনি প্রায় কিছুই৷ তাই যা হারিয়ে গেছে তার কিছুটা হলেও থেকে গেল এই সিনেমায়৷ আর অনেকটাই থেকে গেল রাজ ও মিমির মতো আরও অনেকের স্মৃতিতে৷