চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ ভূমিকম্পে কাঁপলো গোটা দেশ : ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প : নিহত ৪

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশে তীব্র ভুমিকম্পে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশে তিন জনের নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে ৯ শতাধিক। নিহতদের মধ্যে পাবনায় রোকেয়া বেগম ইতি নামে সাবেক স্কুল শিক্ষিকা এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরিনা আক্তার ও বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় মোরশেদা বেগম নামে দু গৃহবধূ রয়েছেন। যেসব এলকায় গার্মেন্ট কারখানা বেশি সেখানে আহত হওয়ার ঘটনা বেশি ঘটেছে। মূলত তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে গার্মেন্টকর্মীরা আহত হন। নারায়ণগঞ্জ, সাভার, ফতুল্লা ও রংপুরসহ অনেক স্থানে ভবন হেলে পড়েছে আবার কিছু কিছু ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভূমিকম্পের সময় মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র নড়তে থাকে। পুরো দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নদী ও পুকুরে ঢেউ তোলে পানি পাড়ে আছড়ে পড়ে। চুয়াডাঙ্গার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো থেকে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা দ্রুত শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়ে ফাঁকা স্থানে অবস্থান নেয়। ঝিনাইদহে বহু শিশু শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরসহ আশপাশ এলাকায় দু দফা ভূমিকম্পন অনুভূত হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা ১১ মিনিটে ও ১২টা ৫৪ মিনিটে দু বার ভূকম্পন অনুভূত হয়। প্রথমবার প্রায় দেড় মিনিট এবং দ্বিতীয়বার ২০ সেকেন্ড ভূমিকম্প স্থায়ী ছিলো। এতে দুজন আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পের সময় বাসাবাড়ি, অফিস আদালতের লোকজন ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। অনেকেই ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। কেউ কেউ বলেন ভূমিকম্পের সময় পুকুর ও ডোবার পানি উথাল পাথাল করে ফুলে উঠছিলো। ভূমিকম্পের সময় পড়ে গিয়ে সদর উপজেলার সরিষাডাঙ্গা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী আসমা খাতুন (৩৪) ও আব্দুস সালামের স্ত্রী ফুলমতি (২৮) গুরুতর আহত হন। তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া প্রথম দফা ভূমিকম্পের সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ব্যবসায়ী পথচারীদের মধ্যেও অতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা শহরের লন্ডন টাউয়ারে চিড় ধরেছে এমন সংবাদ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে মানুষ ঘটনার সত্যতা দেখতে ছুটে যায়। এছাড়া স্কুলপড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থী মাথা ঘুরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। লন্ডন টাউয়ারের দক্ষিণের ওয়ালে ও সামনে এটিএম বুথের ওপরে চিকন রেখার মতো ফাটল দেখতে পেয়ে উপস্থিত ব্যক্তিরা দাবি করেন এ চিড়গুলোর সৃষ্টি হয়েছে ভূমিকম্পের কারনে। তবে অনেকে এ অভিযোগ সঠিক নয় বলেও দাবি করেছেন। লন্ডন টাউয়ারে অবস্থিত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপক দাবি করেছেন এটিএম বুথের ওপরের ফাটা পূর্বেই ছিলো। ভূমিকম্পের কারণে নয়।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় ভূকম্পন নিয়ে সর্ব শ্রেণির মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভীতি লক্ষ্য করা গেছে। ভূকম্পন হচ্ছে বুঝতে পারার সাথে সাথে অধিকাংশ মানুষকে দিক-বিদিক ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। গতকাল শনিবার স্থানীয় ঘড়িতে তখন সময় বেলা ১২টা ১১ মিনিট। ওই সময় দামুড়হুদা মডেল পাইলট হাইস্কুলের তিনতলা ভবনের নিচতলায় শিক্ষার মানোন্নয়নে মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। হঠাৎ চেয়ার নড়েচড়ে উঠলো। ভূমিকম্প হচ্ছে ভূমিকম্প হচ্ছে কথাটি বলার সাথে সাথে সভায় উপস্থিত অতিথিরা যে যার মতো দৌড়ে ভবনের নিচ থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। বাইরে বেরিয়ে দেখা যায় স্কুলের ছাত্ররাও দিকবিদিক ছোটাছুটি করছে। এরপর পুনরায় ১২ টা ৪৮ মিনিটে দ্বিতীয় দফায় ভূকম্পন অনুভূত হয়। তবে তা খুব জোরালো ছিলো না। দামুড়হুদা বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা জানান, ভূমিকম্প হচ্ছে এটা প্রথমে আমরা অনেকেই বুঝতে পারিনি। পরে যখন বুঝতে পারি তখন সাথে সাথে দোকান থেকে বেরিয়ে বাইরে চলে আসি। তারা আরো বলেন, এলাকার বেশির ভাগ মানুষই প্রথমে মনে করেছে মাখা ঘুরছে। হয়তো প্রেসার আপ-ডাউন করছে। দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডে পান-জর্দ্দা দিয়েছে ভেবে এক দোকানির ওপর দু খদ্দের চড়াও হয় বলে জানা গেছে। ভূকম্পন হওয়ার পর থেকে অনেকেরই মাথাঘোরা সমস্যা দেখা দিলে সন্ধ্যায় বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে প্রেসার মাপতে দেখা গেছে। তবে ভূকম্পনে এলাকার কোনো বিল্ডিংয়ে ফাটল বা কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর জেলার সর্বত্রেই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এসময় আতঙ্কে ছোটাছুটি করে ঘর থেকে বের হয়েছেন অনেকেই। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে স্কুল কলেজগুলোতে। ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই সাময়িক জ্ঞান হারায়। গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছয় ছাত্রীকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ছুটি দেয়া হয় বেশির ভাগ স্কুল কলেজ। গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান লালু জানান, ভূমিকম্পের পর মাথা ঘুরে অনেক ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। প্রাথমিক চিকিৎসায় বেশ কিছুক্ষণ পরে ছাত্রীরা সুস্থ হয়ে ওঠে। গুরুতর কয়েকজনকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মেহেরপুর জেলানারেল হাসপাতালের চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার জানান, পৃথিবীর স্বাভাবিক ঘোরার গতি যখন হঠাৎ বেড়ে যায় তখন বিভিন্নভাবে সমস্যা হয়। প্রচণ্ড ঝাঁকুনি ও কাপুনি আমাদের ব্রেন সহ্য করতে অভ্যস্ত নয়। তখন শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যহত হয়ে মাথা ঘোরা ও বমি বমি হতে পারে। এ কারণে অনেকেই সাময়িক জ্ঞান হারিয়েছেন। তবে কিছু সময়ের মধ্যে তারা সুস্থ হয়ে ওঠেন। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, গতকাল শনিবার দু দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বেলা ১২টা ১১ মিনিটে প্রথমবার ও ১২টা ৪৯ মিনিটে আরো একবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। দু দফা ভূমিকম্পের কাঁপুনিতে আতঙ্কিত মানুষ বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে। জনতা ও অগ্রণী ব্যাংক ভবনে সামান্য ফাটল দেখা দিয়েছে।

দুপুরে ভূমিকম্প শুরু হলেও প্রথমে মানুষজন তা বুঝে উঠতে পারেনি। তবে মুহূর্তের মধ্যে ভূমিকম্প হচ্ছে এ বুঝতে পেরে বিল্ডিং ছেলে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। এ সময় তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাদেরকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত আত্মীয়স্বজনদের মোবাইলে খোঁজখবর নিতে দেখা যায়। পর পর দু দফা ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় এখানকার মানুষের মাঝে চরমভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নে ভুমিকম্প হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১২টা ১১ মিনিটের দিকে ভূমিকম্প শুরু হলে অনেকে টালমাটাল হয়ে পড়ে। দীর্ঘ ২৭ সেকেন্ডের ভূমিকম্পনের স্থায়ী হলে অনেকে ঘোর-বেঘোর টাল-মাটাল হয়ে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়েন। নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর ও জলাশায়ের পানি কুল-কিনেরায় আছঁড়ে পড়েতে দেখা গেছে।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহে ভূমিকম্প আতঙ্কে চার স্কুলছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তবে এতে জেলার কোথাও বড় ধরনের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শনিবার দুপুর ১২টা ১১ মিনিটে শুরু হওয়া এ ভূমিকম্প প্রায় দু মিনিট স্থায়ী হয়। ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে দিগবিগিদ ছোটাছুটি করে। কম্পনের সময় অধিকাংশ মানুষের মাথা ঘুরেছে। অনেকে ভূমিকম্পের বিষয়টি নিশ্চিত হতে স্বজনদের কাছে মোবাইলফোন করেন। এ সময় ভূকম্পন বলে চিৎকার দিয়ে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস ছেড়ে লোকজন রাস্তায় নেমে আসে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় টিউবওয়েল থেকে পানি উঠতে দেখা গেছে।

ইবি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্প চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণভয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন ভবন, অফিস ও হল থেকে বেরিয়ে এসে মাঠে অবস্থান নেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশের ন্যায় শনিবার বেলা ১২টা ১১ মিনিটে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচণ্ড ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ১২ মিনিটের ব্যবধানে দুবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সবাইকে নিজ নিজ অফিস, ভবন, বিভাগ ও আবাসিক হল থেকে বের হয়ে এসে মাঠের ফাঁকা জায়গায় অবস্থান নেন।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কুষ্টিয়ায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ ভূমিকম্পে কুষ্টিয়া জেলা, উপজেলা শহর ও তার আশপাশ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের ৩টি কক্ষে ফাটল দেখা দেয়। এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভবনে ফাটলের সংবাদ পাওয়া গেছে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও মিরপুর উপজেলা গার্লস স্কুলের অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আতঙ্কিত হয়ে অসূস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া বান্দরবান, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, গোপালগঞ্জ, মংলা, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জ, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, শেরপুর, মাদারীপুরের টেকেরহাট, মেহেরপুর, ভোলা, বাগেরহাটের শরণখোলা, লক্ষ্মীপুর, মোলভীবাজারের জুড়ী, রংপুরের তারাগঞ্জ, পটুয়াখালীর দশমিনা, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, লালমনিহাটের হাতীবান্ধা, ঝালকাঠির রাজাপুর, বরিশালের আগৈলঝাড়া, মেহেরপুর, শেরপুরের নালিতাবাড়ী, নীলফামারীর ডোমার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ভোলার মনপুরা, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, ঝালকাঠি, পিরোজপুরের কাউখালী, সিলেটের জকিগঞ্জ, ঝালকাঠির রাজাপুর, নওগাঁ, গাজীপুরের শ্রীপুর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া, হবিগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর, নাটোরের গুরুদাসপুর, কুড়িগ্রামের চিলমারী, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং, পটুয়াখালীর বাউফল ও বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে ভূমিকম্প আঘাত হানে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস কর্মকর্তা আবুল কালাম মল্লিক জানান, বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১১ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উত্পত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দূরে নেপালে। রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৭ দশমিক ৫। প্রথম কম্পনটির পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার আরেকটি ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার বরাত দিয়ে একটি বার্তা সংস্থা খবরে জানানো হয়, রিখটার স্কেল অনুযায়ী ভূমিকম্পের উত্পত্তিস্থলে এর মাত্রা ছিলো ৭ দশমিক ৯। তীব্রতা অনুযায়ী এটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে ৮১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ছিলো ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। ঢাকায় প্রথম দফায় ভূমিকম্পটি প্রায় দু মিনিট স্থায়ী ছিলো বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।