ইবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আজ

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০১৫ নির্বাচন আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আওয়ামী ও প্রগতিশীল শিক্ষক সমর্থিত প্যানেলের সাথে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষক প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহি পরিষদের এ নির্বাচনে সরকার সমর্থক শিক্ষকদের সাথে বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশন অফিসসূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের ৪২৭ নং কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩৫৯ জন শিক্ষক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ভোট গণণা শেষে সন্ধ্যার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহি পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী ও বামপন্থি শিক্ষক সমর্থিত বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক প্যানেলের সাথে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আওয়ামী ও প্রগতিশীল শিক্ষক সমর্থিত প্যানেলের পদপ্রার্থীরা হলেন-সভাপতি পদে অধ্যাপক ড. আ.ন.ম রেজাউল করিম (অর্থনীতি বিভাগ) ও সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম জিল্লু (ইংরেজি বিভাগ)। সহসভাপতি পদে অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান (ইংরেজি), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডল (আইন), কোষাধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা (হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে আরও ১০ জন শিক্ষক এ প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতপন্থি ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক সমর্থিত প্যানেল থেকে সভাপতি পদে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান (হিসাব ও তথ্য পদ্ধতি) ও সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওলি উল্লাহকে (দাওয়া অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিস) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সহসভাপতি পদে অধ্যাপক ড. আহসান উল্লাহ ফয়সাল (দাওয়াহ) , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান (আল হাদিস) ও কোষাধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান (আরবি ভাষা ও সাহিত্য) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে আরও ১০ জন শিক্ষক পদপ্রার্থী রয়েছেন। ক্যাম্পাসসূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩৫৯ জন শিক্ষকের মধ্যে আওয়ামীপন্থি ও প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংখ্যা ১৭২ জন। বাকি ১৮৭ জন শিক্ষক বিএনপি-জামায়াতপন্থি ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বলে জানা গেছে।

শিক্ষকদের জন্য ৫টি নির্দেশনা: এদিকে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে নির্দেশনা সংবলিত ৫টি বিধি প্রণয়ন করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্দেশনা সম্বলিত বিধিগুলো হলো- ভোটকেন্দ্রে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন মোবাইলফোন, ক্যামেরা, ল্যাপটপ, ট্যাব সাথে রাখা যাবে না, পোলিং বুথের ভেতরে ভোট প্রদানের ব্যালট পেপার যথাযথভাবে ভাঁজ করে ব্যালট বাক্সে জমা দিতে হবে এবং কোনোভাবেই ব্যালট পেপার উন্মুক্ত করে অপরকে দেখানো যাবে না, ভোট কেন্দ্রের নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে হবে, ভোট কেন্দ্রের পোলিং বুথের ভেতর একসাথে একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করা যাবে না ও ভোট প্রদান শেষে কেউ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে অহেতুক অবস্থান করবেন না।

নির্বাচন কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে অনুরোধ সংবলিত ৫টি নির্দেশনা শিক্ষকদের জানানো হয়েছে। যদি কোনো শিক্ষক এ নির্দেশনা না মানেন তাহলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।