মেহেরপুর মুজিবনগরে ভৈরব নদী পুনর্খনন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

গঙ্গাবাধ সমস্যা সমাধান করতে পারলেই দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চলের জলবায়ু ও আর্সেনিক সমস্যা দূর হবে

 

মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেপুর মুজিবননগরের ভৈরব নদী পুনর্খননের কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ রতনপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কাজের উদ্বোধন করেন। খনন কাজ ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিলে সম্পন্ন হবে।

ভৈরব নদী পুনর্খনন কাজ উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, আমরা সকলেই জানি, বাংলাদেশের পানির মূল সমস্যা হলো গঙ্গাবাঁধ। গঙ্গাবাঁধ সমস্যা সমাধান করতে পারলেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলবায়ু ও আর্সেনিক সমস্যার সমাধান সম্ভব। সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার রতনপুর গ্রামে ভৈরব নদী পুনর্খনন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন পানি সমস্যা নিয়ে দু দেশের প্রধানমন্ত্রী উদ্বিগ্ন। দ্রুতই ভারতের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তিস্তা চুক্তিসহ পানি সমস্যা দূর করা সম্ভব হবে। এছাড়াও সারাবিশ্বে এখন মূল সমস্যা পানি। তাই পানির প্রবাহ ধরে রাখতে হলে বাংলাদেশের নদীগুলোকে দখলমুক্ত করে খনন করতে হবে। পরে সেখানে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম (বীর প্রতীক), সহকারি নৌপ্রধান শাহিন ইকবাল, পানিসম্পদ বিষয়ক সচিব জাফর আহম্মেদ খান ও মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য সেলিনা আক্তার বানু। বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা প্রসাশক মাহমুদ হোসেন, জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী মুজিবনগর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বাসের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, জেলা জাতীয় পাটির সভাপতি আব্দুল হামিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন প্রায় ৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার রতনপুর গ্রাম থেকে ২৯ কি.মি. ভৈরব নদীর পুনর্খনন করা হবে। পর্যায়ক্রমে নদীর বাকি অংশ খননেনর মাধ্যমে ভারতের সাথে চুক্তি সাপেক্ষে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় প্রকল্পের কাজ আগামী ৩০ এপ্রিল ২০১৭ সালে শেষ হবে।