জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ায় চাচা হত্যা মামলার আসামি ভাতিজা শহিদুল গ্রেফতার

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ায় চাচা হত্যা মামলার আসামি ভাতিজা শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শাহাপুর ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই অলিয়ার রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে জীবননগর থেকে গ্রেফতার করেন। গতরাতেই তাকে জীবননগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া মিস্ত্রিপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুস সালাম ওরফে কোপা সালামকে (৪২) কুপিয়ে খুন করে তারই চাচাতো ভাই মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম। ঘটনাটি ঘটে গত ১৬ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে গ্রামের খালপাড়ার তেঁতুলতলার আব্দুল বারিকের চা দোকানের সামনে।

গ্রামবাসীসূত্রে জানা গেছে, আব্দুস সালামের নিকট দোকানির পূর্বের বকেয়া ১৫২ টাকা পাওনা ছিলো। সালাম খাতাপত্র দেখে ১৫২ টাকা পকেট থেকে বের করে ভাতিজা শহিদুল ইসলামের হাতে দিয়ে দোকানিকে দিতে বলেন। শহিদুল টাকা হাতে করে দোকানদারকে দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় বাকবিতাণ্ডার একপর্যায়ে কালাম ও তার সহোদর সালাম ক্ষুব্ধ হয়ে ভাতিজা শহিদুল ইসলামের ওপর হামলা চালান। এ সময় উপস্থিত কয়েকজন প্রতিবাদ করলে কালাম-সালাম দু ভাই তাদের ওপর রুখে যান। শহিদুল এ সময় বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। কালামই তার ছোট ভাই সালামকে জোরপূর্বক বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। সালাম বাড়িতে যাবে না বলে বড় ভাই কালামের পা চেপে ধরে কান্নাকাটি করেন। এরই এক পর্য়ায়ে কালাম তার ছোট ভাই সালামকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে যান। সাথে ছিলেন খালপাড়ার মণ্ডল হজরত আলী। বাড়িতে গিয়েই শহিদুলের উঠোনে সালাম-শহিদুলের কোপাকুপিতে চাচা-ভাতিজা আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাচা সালাম মারা যান। এ সময় কালাম ও মণ্ডল হজরত আলী ছিলেন কোথায়? এ প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে।

মানুষ কোপানো সালাম কোপা সালাম নামে এলাকায় আলোচিত হয়ে ওঠে। ঘটনার রাতেই আহত শহিদুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে চিকিৎসা শেষে সে আত্মগোপন করে। দীর্ঘ ৩৭ দিন পর পুলিশ সালাম হত্যা মামলার আসামি শহিদুলকে গ্রেফতার হলো।