বাংলাদেশি মহিলা বিএসএফ’র নির্যাতনের শিকার

স্টাফ রিপোর্টার: বিএসএফ’র হাতে মারধর ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ভারত থেকে ফেরার পথে হাসুরা খাতুন (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নারী। গতকাল বুধবার  সকাল ১১টায় ভারতের পেট্রপোল চেকপোস্টের বিএসএফ  ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই যাত্রী যশোরের কোতোয়ালী থানার চাচড়া ডালমিল এলাকার জামাল শেখের স্ত্রী।

আহতের চাচাতো বোন পাসপোর্টধারী যাত্রী টুনি বেগম বলেন, তার চাচাতো বোনের সাথে পাসপোর্ট নিয়ে ভারত থেকে তিনিও ফিরছিলেন। এ সময় তাদের সাথে স্বজনদের জন্য কিছু কেনাকাটা ছিলো। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কার্যাদি শেষ করে তারা বাংলাদেশে ঢোকার আগ মুহূর্তে নোম্যান্সল্যান্ড থেকে হঠাৎ করে বিএসএফ সদস্যরা হাসুরাকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এ সময় তার সাথে থাকা কেনাকাটার জন্য ঘুষ দাবি করে। এতে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে বিএসএফ সদস্য তাকে মারধর ও জখম করে। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় একটি ভ্যানে উঠিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় এবং আমাকে ধমক দেয় এসব কথা যেন বাংলাদেশে গিয়ে কাউকে না বলি। যদি বলি তাহলে পরবর্তীতে ভারতে এলে আটকে দেবে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম খান বিষয়টি স্বীকার করে  জানান, ঘটনা শুনে আমরা নোম্যান্সল্যান্ডে গিয়ে সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিলো বলে জানায় পুলিশ।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সুবেন্দ্র সিং নামে এক বিএসএফ (এএসআই) সদস্য ওই নারীকে পিটিয়ে আহত করে। এটা গুরুতর অপরাধ। মালামাল বেশি থাকলে নিয়মমতো তা বাজেয়াপ্ত করতে পারে। কিন্তু মারধর কাম্য নয়।

এ সময় তিনি আরো জানান, কাস্টমস যাত্রীর মালামাল তল্লাশি করে ছেড়ে দেয়ার পরও আবার বিএসএফ সদস্যরা অন্যায়ভাবে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীদের মালামাল আটকে রেখে হয়রানি করছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও সংশিষ্টরা কোনো কর্ণপাত করছে না।