নেইমার জাদুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে বার্সেলোনা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মাঝ মাঠে আবারও চোখধাঁধানো ফুটবল খেললেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। নেইমারও ছড়ালেন আলো। তাই কড়া পাহারায় থাকা লিওনেল মেসি গোল না পেলেও দাপটের সাথেই পিএসজিকে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে উঠলো বার্সেলোনা। কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম পর্বে পিএসজির মাঠে ৩-১ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিলো বার্সেলোনা। আর গত মঙ্গলবার ক্যাম্প নুউয়ে দ্বিতীয় লেগে ২-০ গোলে জিতে সহজেই শেষ চার নিশ্চিত করেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চারবারের শিরোপা-জয়ী দলটি।

চতুর্থ মিনিটে বল নিয়ে দ্রুত পিএসজির বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেস কিন্তু প্রথম লেগে দু গোল করা এ উরুগুরুয়ে স্ট্রাইকারকে কর্নারের বিনিময়ে আটকে দেন দাভিদ লুইস। তবে গোলের অপেক্ষা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি বার্সেলোনার। চতুর্দশ মিনিটে মাঝ মাঠের একটু ওপর থেকে একে একে প্রতিপক্ষের তিন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে নেইমারকে ডিফেন্স চেরা পাস দেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। লুইসকে ছিটকে দেয়ার পর পিএসজি গোলরক্ষককে কাটিয়ে আলতো শটে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় কাতালুনিয়ার দলটি। সুয়ারেসের বাড়ানো বল থেকে লিওনেল মেসি লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হলে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হারায় স্বাগতিকরা। তবে প্রথমার্ধেই নেইমারের হাত ধরে স্কোরলাইন ২-০ করে নেয় বার্সেলোনা। ৩৪তম মিনিটে দুই ব্রাজিলিয়ানের দারুণ বোঝাপড়ায় গোলটি পায় বার্সেলোনা। দানি আলভেসের নিখুঁত ক্রস প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে খুঁজে নেয় নেইমারকে; মাপা হেডে লক্ষ্যভেদ করে পিএসজির সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন প্রায় শেষই করে দেন তিনি।

প্রথমার্ধে আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত থাকা পিএসজিকে ম্যাচে ফেরানো গোল এনে পারেননি ইব্রাহিমোভিচ। ফলে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্রান্সের লিগ ওয়ানের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। লরাঁ ব্লাঁর দল অবশ্য বল পায়ে রেখে দ্বিতীয়ার্ধে গোছানো আক্রমণে মনোযোগ দেয় বেশি কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি। ৫৯তম মিনিটে জেরার্দ পিকের ভুল পাস থেকে বল পান ইব্রাহিমোভিচ। সুইডিশ তারকার বাড়ানো বলে মার্কো ভেরাত্তি শট নিলেও তা লক্ষ্যে থাকেনি; পিএসজি সমর্থকদের হতাশা বাড়িয়ে পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।