ভূয়া সনদে ইবিতে খেলোয়াড় কোটায় দু শিক্ষার্থীর ভর্তির অপচেষ্টা

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথমবর্ষে খেলোয়াড় কোটায় ভর্তির চেষ্টাকালে আবেদনকারী দু ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সনদ ভূয়া বলে শনাক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড় ভর্তি উপকমিটি। আবেদনকারী দু শিক্ষার্থী বাফুফের সনদ জাল করে ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিলে ওই সনদ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে যাচাই করার সময় তাদের এ জালিয়াতি ধরা পড়ে। খেলোয়াড় কোটায় আবেদনকারী ওই দু শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল ও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করেছে খেলোয়াড় বাছাই উপকমিটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড় ভর্তি উপকমিটি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথমবর্ষে খেলোয়াড় কোটায় ভর্তির আবেদন ৪ এপ্রিল শুরু হয়ে শেষ হয় ৯ এপ্রিল। খেলোয়াড় কোটায় ভর্তির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৩৪ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করে। আবেদনকারী ৩৪ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৭ জন শিক্ষার্থী বিকেএসপি ও বাফুফের সনদ জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। খেলোয়াড় কোটায় ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি ও ৩ সদস্যবিশিষ্ট আরও একটি খেলোয়াড় বাছাই উপকমিটি রয়েছে। নিয়মানুযায়ী, খেলোয়াড় কোটায় ভর্তির জন্য আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের জমা দেয়া ক্রীড়া সনদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে সনদের সত্যতা মিললেই কেবল ভর্তি করানো হয়।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের জমা দেয়া সনদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ১৬ এপ্রিল ঢাকায় যায় খেলোয়াড় বাছাই উপকমিটি। বাফুফে থেকে সনদ যাচাইকালে দু শিক্ষার্থীর সনদ জাল বলে ধরা পড়ে। জালসনদ দিয়ে ভর্তিতে অপচেষ্টা করা দু ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী হলো- মেহেদী হাসান রয়েল (আবেদনের ক্রমিক নং-২৭) ও শাহী শোহানুর হামিদ (আবেদনের ক্রমিক নং-৩৪)। আবেদনকারী দু শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল ও জালসনদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অপচেষ্টার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির কাছে মৌখিকভাবে সুপারিশ করেছে খেলোয়াড় বাছাই উপকমিটি।

খেলোয়াড় বাছাই উপকমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, যে দু শিক্ষার্থীর সনদ ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে তাদের ভর্তি বাতিল করার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটিকে মৌখিকভাবে জানানো হবে। বিয়য়টি অচিরেই আমরা লিখিতভাবে কমিটিকে জানাবো।

ফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকারের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।