বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কার

স্টাফ রিপোর্টার: শিক্ষক লাঞ্ছিত করায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টিকাদার ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রশাসন।

এদিকে বুয়েট শিক্ষক সমিতি এক সাধারণ সভায় ক্লাস বর্জন ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অসমর্থিত সূত্র থেকে জানা গেছে, শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার কারণে বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টিকাদার ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। দুজনই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী, শুভ্র ২য় পর্বের ও সাঈদ প্রথম পর্বের।

এছাড়া ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষ প্রথম পর্বের শিক্ষার্থী প্রতীক দত্তকে চলতি পর্ব ও পরবর্তী পর্বের জন্য এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় পর্বের রাতুল নামে এক ছাত্রকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু আনাসকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত হতে গতকাল মঙ্গলবার ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার বা ওই দপ্তর থেকে জানতে বলেন। সকাল থেকে বিভিন্ন সময়ে বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক একেএম মাসুদকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। মুঠোফোনে পরিচয় দিয়ে খুদেবার্তা পাঠালেও সাড়া মেলেনি। রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে বিকেলে গিয়ে সেখানে রেজিস্ট্রারকে পাওয়া যায়নি। সহকারী রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার জাকের আল কবীর বলেন, ছাত্রকল্যাণ দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি তাদের কাছে আসেনি।

বুয়েটের উপাচার্য খালেদা ইকরামকে ফোন করা হলে তিনি দুজনকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেন। তবে বাকিদের নাম এ মুহূর্তে মনে নেই বলে জানান এবং ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের সাথে কথা বলতে বলেন। পরিদপ্তরের পরিচালক দেলোয়ার হোসেনকে দ্বিতীয়বার ফোন করে উপাচার্য তার কথা বলেছেন জানালে তিনি দিতে পারবেন না বলে ফোন কেটে দেন। তার কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বহিষ্কারের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করবেন বলে জানান।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হাসিব চৌধুরী গতকাল দুপুরে শিক্ষক সমিতি সাধারণ সভা করে তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে তাদের কাছেও এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি নেই বলে দাবি করেন।