স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে, এক মাসও হয়নি। ভাবনায় চলে এসেছে আগামী বিশ্বকাপ। সদ্যসমাপ্ত বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্সের পরও আগামী বিশ্বকাপ নিয়ে বাংলাদেশকে ভাবতে হচ্ছে ঢের। ভাবনাটা যে সুযোগ পাওয়া নিয়েই! ২০১৯ বিশ্বকাপের ফরম্যাটই চিন্তায় ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশকে। আগামী বিশ্বকাপ হবে ১০ দলের। সেখানে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও ৱ্যাঙ্কিঙের শীর্ষ সাত দল খেলবে সরাসরি। বাকি দুটি স্থানের জন্য ৱ্যাঙ্কিঙের আট ও নয় নম্বর দল বাছাইপর্ব খেলবে আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর সাথে। তাই আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সেরা আটে থাকতেই হবে। না হলে খেলতে হবে বাছাই পর্ব, যেখানে হুমকি হয়ে দাঁড়াবে আয়ারল্যান্ড-স্কটল্যান্ড-আফগানিস্তানের মতো উন্নতি করতে থাকা দলগুলো।
পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করার দারুণ সুযোগ আজ বুধবার বাংলাদেশের সামনে। সাধারণত সিরিজের এমন সমীকরণে অনেক দলই শেষ ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে থাকে। রনি তালুকদারকে দলে নিলেও খেলানো হয়নি। তাকেও একটা সুযোগ দেয়া যায়। বাংলাদেশও হাঁটবে সে পথে? সহকারী ও স্পিন–কোচ রুয়ান কালপাগে জানালেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা নয়; বাংলাদেশের ভাবনায় কেবলই ৱ্যাঙ্কিঙে ‘আমাদের জন্য ওয়ানডে ৱ্যাঙ্কিংটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন পরীক্ষা নিরীক্ষার সময় নয়। প্রতিটি ম্যাচই বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ম্যাচ জেতা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য ওয়ানডে ৱ্যাঙ্কিঙে রেটিং বাড়ানোর এটা একটা দারুণ সুযোগ। সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই দুভাবে হিসাব-নিকাশ করা হচ্ছিলো। এক. বাংলাদেশ পাকিস্তানকে যদি বাংলাওয়াশ করে তবে ৱ্যাঙ্কিঙে কী হবে। দুই. পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ যদি ধবলধোলাই হয়, ৱ্যাঙ্কিঙে হবে? দ্বিতীয়টি ঘটার আর সুযোগ নেই। তাই প্রথম হিসাবটাই চলে এসেছে সামনে। বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হারালে ৱ্যাঙ্কিঙে অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হবে না। বাংলাদেশ নয় নম্বরেই থাকবে। তবে বাংলাদেশ মূল্যবান ৫টি রেটিং পয়েন্ট নিয়ে পৌঁছুবে ৮১–তে। অন্যদিকে বাংলাওয়াশের বড় মূল্য দিতে হবে পাকিস্তানকে। তাদের পয়েন্ট নেমে আসবে ৯২-এ। সমান পয়েন্টে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ছেড়ে দিতে হবে সপ্তম অবস্থানটি। এক ধাপ কমে পাকিস্তান চলে আসবে অষ্টম অবস্থানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ- পাকিস্তান দু দলের সাথে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্টের ব্যবধান কমে আসবে ১১-তে। ৱ্যাঙ্কিঙে নিজেদের রেটিং বাড়িয়ে নেয়ার এ সুযোগ বাংলাদেশের এমনি হয়নি; হয়েছে গত কমাসের দারুণ সাফল্যে। কালপাগে তাই বললেন, বিশ্বকাপে ছেলেরা দারুণ খেলেছে। সবার দারুণ উন্নতি হয়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে খেলোয়াড়েরা দারুণ খুশি। এখন তৃতীয় ম্যাচের দিকে তাকিয়ে সবাই। গত কয়েক ম্যাচ কেবল নয়, আমরা গত ছয় মাসের বেশি সময় ধরে কঠোর পরিশ্রম করছি। সব সময় উঁচুমানের পারফরম্যান্স সম্ভব নয়। তবে এখন সবাই আত্মবিশ্বাসী। বোলিং-ফিল্ডিং-ব্যাটিং প্রতিটি বিভাগেই এ মুহূর্তে দারুণ করছে খেলোয়াড়েরা। যে দলটির বিপক্ষে ১৬ বছর জয়-খরায় ভুগেছে বাংলাদেশ দল, তাদের বিপক্ষে দাপুটে সিরিজ জয়। তবে এ পারফরম্যান্সে মোটেও অবাক হননি বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ কালপাগে, ‘আমি অবাক হইনি। খেলোয়াড়েরা যেভাবে উন্নতি করছে তাতে খুশি। খেলোয়েড়েরা জানে তারা কতোটা প্রতিভাবান। আমরা খেলছি একটা দল হয়ে। গত চার মাসে সত্যি অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছি। প্রত্যেকে দারুণ খেলছে এ মুহূর্তে।