চুয়াডাঙ্গার তরমুজ ব্যবসায়ীদের দাবি : রঙ ও স্যাকারিন দিয়ে আমরা তরমুজ বিক্রি করি না

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার তরমুজ বিক্রেতারা বলেছেন, ‘আমরা তরমুজে সিরিঞ্জ দিয়ে রং পুশ করে বিক্রি করি না’। পত্রিকায় প্রকাশিত ‘তরমুজে ব্যবসায়ীদের কারসাজি, কেমিক্যাল আতঙ্ক’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি সঠিক নয় বলে দাবি তুলে চুয়াডাঙ্গার তরমুজ ব্যবসায়ীরা এ মন্তব্য করে বলেছেন, চুয়াডাঙ্গার তরমুজ ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে তরমুজ কিনে কেউ অসুস্থও হয়নি।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে তরমুজ খেয়ে একই পরিবারের এক শিশুসহ সাতজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তরমুজে কেমিক্যাল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গত বছর কুষ্টিয়া কুমারখালীতে তরমুজ খেয়ে মৃত্যুর বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় ‘তরমুজে ব্যবসায়ীদের কারসাজি, কেমিক্যাল আতঙ্ক’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গতকাল বেলা ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গার বেশ কিছু ব্যবসায়ী দৈনিক মাথাভাঙ্গা দফতরে উপস্থিত হয়ে জানান, চুয়াডাঙ্গার ব্যবসায়ীদের কেউ তরমুজে রং বা কেমিক্যাল দেয় না। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সঠিক নয় বলে দাবি তুলে ব্যবসায়ীদের পক্ষে শামসুল আলম মাস্টার লিখিত প্রতিবাদলিপিতে বলেন, তরমুজের ভেতরে সিরিঞ্জ দিয়ে রং ও স্যাকারিন দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন তিনি।

বিষয়টি ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে পৌর মেয়রকেও অবগত করিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে। অপরদিকে গতকালের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে প্রতিবেদকের মন্তব্য, মরসুমি ফল তরমুজের ওপর ভোক্তা সাধারণের আস্থা রাখতে এবং ঝুঁকিমুক্ত তরমুজ বিক্রিতে উৎসাহিত করার জন্যই মূলত প্রতিবেদনটি উপস্থাপন কর হয়।