কালীগঞ্জে তরমুজ খেয়ে একই পরিবারের ৭ সদস্য অসুস্থ

চুয়াডাঙ্গার বাজারেও প্রশাসনিক নজরদারি আহ্বান এক ভোক্তার

 

স্টাফ রিপোর্টার/কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে তরমুজ খেয়ে শিশুসহ একই পরিবারের ৭ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তরমুজ খাওয়ার পরক্ষণেই তারা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে ৬ জনের জ্ঞান ফিরলেও এখনো এক শিশুর জ্ঞান ফেরেনি। রোববার কালীগঞ্জ উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে চুয়াডাঙ্গার বাজার থেকে তরমুজ কিনে মাঝেরপাড়ার একটি পরিবার দু সদস্য অসুস্থতা বোধ করতেই তা খাওয়া বাদ দিয়ে বিষয়টি দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে জানিয়েছেন।

কালীগঞ্জে তরমুজ খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়া একই পারিবারের ৭ সদস্যকে গতকালই বিকেল ৩টার দিকে উপজেলরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অসুস্থরা হলেন- কাঁঠালিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম (২৮), তাসমিন খাতুন (২), শান্তা ইসলাম (৭), রুহান (৯), সুমি খাতুন (৪), পারুল বেগম (৫৫) ও কল্পনা বেগম (১৮)।

অসুস্থ শরিফুল ইসলাম জানান, সকালে তিনি কালীগঞ্জ বাজার থেকে একটি তরমুজ কিনে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে বিকেলে তরমুজটি পরিবারের ৭ সদস্য মিলে খায়। খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের পেট ব্যথা আর বমি শুরু হয়। এতে তারা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে প্রতিবেশীরা খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে ভর্তির পর অসুস্থ ৭ জনের মধ্যে ৬ জনের জ্ঞান ফিরলেও শান্তা নামের এক শিশুর জ্ঞান এখনো ফেরেনি বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুর রহমান বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে তারা অসুস্থ হয়েছে। চিকিৎসা চলছে। দ্রুত তারা সুস্থ্য হয়ে উঠবে বলে আশা করছি।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা মাঝেরপাড়ার মাসুম মণ্ডল মাথাভাঙ্গাকে জানান, বাজার থেকে একটি তরমুজ কিনে বাড়ি নিয়ে কাটার পর মুখে দিয়ে দেখি অন্যরকম স্বাদ। তরমুজের পানির সাথে রঙের বিক্রিয়া। সাথে সাথে তা ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছি। এদিকে প্রশাসনের আশুদৃষ্টি কামনা করে তিনি বলেছেন, গত বছর এ মরসুমি ফল খেয়ে কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

Leave a comment