মাথাভাঙ্গা মনিটর: দারুণ ফর্মে থাকা লুইস সুয়ারেস আবারও জ্বলে উঠলেন, গোল পেলেন লিওলেন মেসিও। আর আক্রমণভাগের এ দু তারকার নৈপুণ্যে ভালেন্সিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে লা লিগায় নিজেদের শীর্ষস্থান মজবুত করেছে বার্সেলোনা। এ জয়ে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট বেড়ে হলো ৩২ ম্যাচে ৭৮। গত সপ্তায় সেভিয়ার মাঠে হোঁচট খাওয়া বার্সেলোনার সামনে শীর্ষস্থান হারানোর শঙ্কা এড়াতে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিলো না। তাদের প্রতিপক্ষ চতুর্থ স্থানে থাকা ভালেন্সিয়ার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আবার দারুণ একটি লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছিলো। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা উরুগুয়ের স্ট্রাইকার সুয়ারেসের গোলে প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
ডান পায়ের কোনাকুনি শটে করা সুয়ারেসের গোলটিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিলো মেসির। পাল্টা আক্রমণে মাঝ মাঠের কাছ থেকে সের্হিও বুসকেতসের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে ডিফেন্ডারদের পায়ের কারুকাজে ফাঁকি দিয়ে ডানে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া সুয়ারেসকে পাস দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।
লা লিগার এ মরসুমে সুয়ারেসের এটি একাদশ গোল। আর শেষ ১৬ ম্যাচে এটা তার চতুর্দশ গোল। পিছিয়ে পড়লেও গত ৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকা ভালেন্সিয়া ছন্দে ফিরতে দেরি করেনি। তৃতীয় মিনিটে তো একটুর জন্যে গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় বার্সেলোনা; স্ট্রাইকার রদ্রিগোর ডান পায়ের কোনাকুনি শটটা পোস্টের অল্প দূর দিয়ে চলে যায়। দশম মিনিটে আরও বড় হতাশা ঘিরে ধরে অতিথিদের; ডি বক্সের মধ্যে রদ্রিগোকে বার্সেলোনা ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকে পেছন থেকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ভালেন্সিয়া। কিন্তু স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দানি পারেহোর দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভো। এরপর প্রথমার্ধের অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে বারবার আক্রমণ করতে থাকে ভালেন্সিয়া। বেশ কয়েকটি সুযোগও পেয়েছিল তারা, কিন্তু সাফল্য মেলেনি। এর মধ্যে ৩৯তম মিনিটে স্প্যানিশ স্ট্রাইকার পাসো আলকাসেরের শট পোস্টে লাগলে ফের বড় ধাক্কা খায় অতিথি দলটি। এর দু মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ নষ্ট করেন মেসি; ছোট ডি বক্সের সামনে ফাঁকায় বল পেয়েও ব্যর্থ হন তিনি, তার শটটি পোস্টের কয়েক ইঞ্চি দূর দিয়ে চলে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে অবশ্য ফের মাঠের দখল নেয় স্বাগতিকরা। প্রথম ১৫ মিনিটে তো একরকম ভালেন্সিয়ার ডি বক্সের আশেপাশেই বল নিয়ে ঘোরাফেরা করতে থাকেন মেসি-নেইমাররা।