দুগ্ধ শিল্পের উন্নয়নে ১০০০ কোটি টাকার তহবিল হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার: বাণিজ্যিকভাবে গবাদি পশু পালনে সহজ শর্তে ও কম সুদে ঋণের জোগান দিতে এক হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণের সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এর মধ্যে গ্রাহককে দিতে হবে ৫ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ ভর্তুকি হিসেবে দেবে অর্থমন্ত্রণালয়। গবাদি পশুর উৎপাদন বাড়িয়ে দুগ্ধ শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যেই নেয়া হয়েছে এ উদ্যোগ। এর মাধ্যমে দেশের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান বাড়ানো ও দারিদ্র্য বিমোচনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। এটিই হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবচেয়ে বড় পুনঃঅর্থায়ন তহবিল।
এ বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। যেহেতু সুদ ভর্তুকি বাবদ ৫ শতাংশ অর্থের জোগান দেবে অর্থমন্ত্রণালয়, এ কারণে এ ব্যাপারে তাদের সম্মতি প্রয়োজন। সম্মতি পাওয়া গেলেই তহবিলের কাজ শুরু হবে। দুগ্ধ শিল্পে ঋণ দিতে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এ পুনঃঅর্থায়নের বাইরে নিজস্ব অর্থে ২০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অচিরেই এই তহবিলের কাজ শুরু করা হবে। এই তহবিল থেকেও একই প্রক্রিয়ায় ঋণ দেয়া হবে। ঋণের সুদের মধ্যে গ্রাহকের ৫ এবং অর্থমন্ত্রণালয়ের ভর্তুকি বাবদ ৫ শতাংশ মিলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে দেয়া হবে ১০ শতাংশ সুদ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গাভী কেনা, গাভী লালন-পালন, গাভীর সংকরায়ন, দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণ, দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন ও বিপণন খাতে এই তহবিল থেকে ঋণ দেয়া হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যেকোনো পর্যায়েই ঋণ নেয়া যাবে। ঋণের বিপরীতে জামানত ও অন্যান্য শর্তাবলী শিথিল থাকবে। এ খাতে ঋণের জোগান বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ইতোমধ্যে ৯০০ কোটি টাকা চারটি সরকারি ব্যাংককে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক ও কর্মসংস্থান ব্যাংককে ১০০ কোটি টাকা করে ২০০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংককে ৫০০ কোটি এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। এছাড়া জাইকার অর্থায়নে এ খাতে ঋণ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ৬৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর অধিনেও অচিরেই ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।