ড. মেহেদীর বিস্ময়কর সাফল্যে সাগর পেলো সুস্থজীবন

অসম্ভব চিকিৎসাকে গবেষণায় সম্ভব করলেন চুয়াডাঙ্গার কৃতীসন্তান

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের প্রখ্যাত অর্থোপেডিক সার্জন চুয়াডাঙ্গার কৃতীসন্তান প্রফেসর ড. মাহবুব হোসেন মেহেদী চিকিৎসা বিজ্ঞানে আরো একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার ও সাফল্য অর্জন করেছেন। যে রোগ নিয়ে অনেকেই জন্মান্তর ভোগেন অনেকে, সেই রোগ কাইফো সহকাত্তসিস বা কুজো রোগের ওপর টানা ৫ বছর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভই শুধু করেননি, তিনি চুয়াডাঙ্গারই এক রোগীকে সফল অস্ত্রপোচারের মাধ্যমে সুস্থ করে তুলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে চমক এনেছেন।

ড. মেহেদী বলেছেন, আদিকাল থেকে মানুষ নানা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। কিছু রোগ আরোগ্যলাভ হয়। কিছু রোগ সারাজীবনের সাথী হয়ে দাঁড়ায়। এসব রোগ থেকে আরোগ্য লাভের আশায় স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে গবেষণার অব্যাহত। কিছু রোগের সমাধান এখনও মেলেনি। এর মধ্যে কাইফো সহকাত্তসিস বা কুজো-বাকা রোগ। অনেকেই আছেন যারা জন্ম থেকেই এ রোগবহন করেন। ধারণা করা হয়, জেনেটিক কারণে এটি হতে পারে। এ রোগ ঘাড় থেকে মাজা কোমরের নিচের অংশ পর্যন্ত সম্পূর্ণ কুজো বা বাকা হযে যায। ক্রমশ স্পাইনাল কড আক্রান্ত হয়। দুটি পা সম্পূর্ণ বা আংশিক প্যারালাইসিস হয়ে যায়। এ রোগেই আক্রান্ত হয়ে ভুগছিলেন চুয়াডাঙ্গা ঈদগাপাড়ার আবু বকর সিদ্দিকির ছেলে সাইফুল ইসলাম সোহাগ (৩৫)।

সোহাগ দেশের নানা চিকিৎসা কেন্দ্রেই শুধু ঘোরেনি, ভারতেও ছুটেছে। অবশেষে দৈনিক মাথাভাঙ্গায় বিজ্ঞাপন পড়ে ড. মাহবুব হোসেন মেহেদীর নিকট চিকিৎসা নিতে শুরু করেন। ড. মাহবুব হোসেন মেহেদী শুধু চিকিৎসকই নন, তিনি চিকিৎসার বিষয়ে নিয়মিত গবেষণা করে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি সোহাগের পিতার সাথে সকল প্রকারের পরামর্শ করেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর অস্ত্রপোচারের মাধ্যমে সোহাগকে সুস্থ করে তুলেছেন। এ বিষয়ে ড. মেহেদী বলনে, ঢাকার প্লাজমা অর্থোপেডিক ট্রমা, স্পাইন কেয়ার হাসপাতালে দীর্ঘ ‌১২ ঘণ্টা অপারেশনের মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়েছে। অবশ্যই সকল প্রশংসা মহান সৃষ্টি কর্তা আল্লাহর। এ ধরনের রোগের অপারেশন দেশে এটাই প্রথম।

প্রফেসর ড. মহাবুব হোসেন মেহেদী একজন সমাজসেবক হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করে চলেছেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সোহাগ সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন যাপনের সুযোগ পেয়েছেন। তাকে সুস্থ করে তোলায় ডা. মেহেদীকে সোহাগের পিতা-মাতা চিরকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তারা ডা. মেহেদীর উত্তরাত্তোর উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনার পাশঅপাশি দীর্ঘায়ু প্রাথনা করেছেন। ড. মেহেদীও গবেষণা ও চিকিৎসায় সফলতা অর্জনে চুয়াডাঙ্গাবাসীসহ দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।