ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শেখপাড়া বিন্নি গ্রাম থেকে মৌসুমি খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালমর্গে পাঠায় পুলিশ। মৌসুমি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার জাড়গ্রামের আনজের আলীর মেয়ে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। ঘটনার পর থেকে মৌসুমির স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় দু বছর আগে মৌসুমি খাতুনের সাথে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শেখপাড়া বিন্নি গ্রামের আমিরুল শেখের ছেলে সোহাগ শেখের (২৭) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে তার ওপর নানাভাবে নির্যাতন করতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ নিয়ে গ্রামে কয়েকবার সালিসও হয়েছে।
মৌসুমির চাচাতো ভাই মশিয়ার রহমান জানান, সম্প্রতি একটি মোটরসাইকেলসহ চার লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়েছে। তারপরও মোটরসাইকেল পছন্দ হয়নি এমন অজুহাতে মৌসুমিকে মারপিট করতো তার স্বামী। তিনি আরো জানান, সকালে মৃত্যুর খবর শুনে শেখপাড়া বিন্নি গ্রামে গিয়ে দেখতে পান তার শ্বশুরবাড়ির কোনো লোকজন বাড়িতে নেই। বাড়ির বারান্দায় লাশ পড়ে আছে। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন, রাতে মৌসুমিকে পিটিয়ে হত্যা পর মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শেখপাড়া বিন্নি গ্রামের এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কয়েক মাস আগে মৌসুমির স্বামীর সাথে এলাকার এক মেয়ের প্রেমসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ কারণে মৌসুমির সাথে আর ঘরসংসার করতে চাইতো না তার স্বামী। প্রায়ই নির্যাতন করতো।
হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি এরশাদুল কবির চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালমর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। নারী নির্যাতনের অভিযোগে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানান।