দামুড়হুদায় আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার

নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে খালেদা জিয়া কি পেলেন?

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় ডাকবাংলো চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সায়েদ আলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ প্রশাসক দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ বাহার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক সোহরাব হোসেন, নতিপোতা ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আজিজুল হক, নতিপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হামিদুল্লাহ বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জব্বার, লাল মোহাম্মদ, আমজাদ হোসেন, আব্দুল হালিম, আব্দুল মালেক, আব্বাস আলী, লিয়াকত আলী, মোজাহারুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, শ্রমিকলীগ নেতা এম নুরুন্নবী, আ. মাজিদ, ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, আফজালুর রহমান বুলু প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা মিরাজুল ইসলাম, মহাসিন আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, আশাদুল, মাসুদ মেম্বার, জাহিদুল মেম্বার, দেলোয়ার, মিন্টু, শফি, ডলার, পিন্টু, আশরাফুল, ওসমান প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ওই পাকিস্তানিদের দোষর যে সমস্ত রাজাকার-আলবদররা আমাদের মা-বোনদের যেভাবে বায়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে মেরেছিলো তাদেরই আশ্রয়তাদা খালেদা জিয়া ঠিক সেইভাবে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারছেন। এজন্য ওনার বিচার হওয়া উচিত। বাংলার মাটিতে যদি আপনার বিচার নাও হয় আল্লাহ ছাড়বে না। ওনার কাছে আমার জিজ্ঞাসা ওনি নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে মেরে কি পেলেন? যে এতিমদের টাকা মেরে খাই তার হাতে দেশের মানুষ নিরাপদ নয়। তিনি ঐতিহাসিক ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস সফল করার লক্ষ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন এলাকার কারা কারা জামায়াত-শিবির করে তাদের লিস্ট করতে হবে। এখনই তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি এমপি টগরের উদ্দেশে বলেন, দলের বিপর্যয় হলে আপনারা ওনাকে কিন্তু পাবেন না। বানরের হাতে খুন্তা দিলে সে তো একটু ক্ষমতা দেখাবেই। তবে ক্ষণস্থায়ী। হাওয়ায় এসছে আবার হাওয়ায় ভেসে যাবে। দুটো পয়সার লোভে কেউ কেউ যাচ্ছেন যান কিন্তু খুব সাবধান। দল ক্ষমতাচ্যুত হলে উনি কিন্ত এলাকায় থাকবেন না। তিনি দামুড়হুদা থানার ওসির উদ্দেশে বলেন, নিরপেক্ষ হন না হলে ১৭ তারিখের পর থানা ঘেরাও করবো। তোমার কোন অফিসার দিয়ে ট্রান্সফার করাবো না। তোমাকে বেইজ্জতি করে এখান থেকে তাড়ানো হবে। সুতরাং ভালো হয়ে যাও। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।