চুয়াডাঙ্গায় চাকরি দেয়ার প্রলোভনে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার সময় বিজিবির হাতে পাকড়াও এক হোতা

দক্ষতার সাথে শক্ত হাতে অনিয়ম তাড়িয়ে স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেও দালালচক্রের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ফাঁদ

 

স্টাফ রিপোর্টার: লোক নিয়োগে চুয়াডাঙ্গাস্থ ৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল মনিরুজ্জামান যখন দক্ষতার সাথে শক্ত হাতে অনিয়ম তাড়িয়ে স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তখনও নিয়োগের বানোয়াট প্রতিশ্রুতিতে অর্থ হাতানোর ফাঁদ পেতেছে একটি চক্র। চক্রের অন্যতম হোতা ডিঙ্গেদহের ফজলুল হক গতকাল রোববার বিজিবির হাতে ধরাপড়ার পর অর্থ হাতানোর ফাঁদ পাতার কথা স্বীকারও করেছেন। বিজিবি এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, তাকে গতকালই মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলায় আসামির তালিকায় রয়েছে আরো দুজন।

1

জানা গেছে, ৬ বার্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের তত্ত্বাবধানে চুয়াডাঙ্গা জেলার ৮৭তম ব্যাচে ভর্তিকৃত রিক্রুটদের প্রাথমিক মেডিকেল গতকাল রোববার সকাল থেকে শুরু হয়। মেডিকেল চলাকালে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধরা পড়ে ডিঙ্গেদহের মৃত গাজীম উদ্দীনের ছেলে ফজলুল হক (৫০)। তাকে আটকের পর বেরিয়ে আসে নিয়োগের প্রলোভনে ভর্তিইচ্ছুদের কার সাথে কতো টাকার চুক্তি করেছেন তিনি। বিজিবির তরফে বলা হয়েছে আটকের পর ফজলুল হক অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারার কথা স্বীকার করে দু সহযোগী চুয়াডাঙ্গার হাবিবুর রহমান ও ঢাকার সুমন আহম্মেদের নাম বলেছে। এদের ধরতে না পারলেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

বিজিবি সূত্র বলেছে, ভর্তিইচ্ছুক রিক্রুটদের চাকরি নিশ্চিত করার প্রলোভনে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শোলগাড়ি গ্রামের মৃত আনন্দ মণ্ডলের ছেলে হেলাল উদ্দীন, দামুড়হুদার মদনা গ্রামের আসার উদ্দীনের ছেলে জিয়ারুল ইসলামের সাথে ৫ লাখ টাকার চুক্তি করে। এছাড়াও ভর্তিইচ্ছু রিক্রুটদের বেশ কয়েকটি চেক দেখিয়ে বিশ্বাস স্থাপনের পাঁয়তারাও করেন। বিষয়টি জানার সাথে সাথে ৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল মনিরুজ্জামান দালালচক্রের সদস্যদের আটকের নির্দেশ দেন। বিজিবি সদস্যরা হাতেনাতে আটক করেন ফজলুল হককে। আটকের পর তিনি অর্থ হাতানোর কথা স্বীকার করে দুজন সহযোগীর নাম ধাম বলেন। হাবিবুর রহমানের (৩৫) বাড়ি চুয়াডাঙ্গায়। বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঢাকার সুমন আহম্মেদের মোবাইলফোন নম্বর ০১৯৮৮-৮৯২৭৬৭। এদের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় দায়ের করা হয়। মামলা নং ৮।

এ বিষয়ে বিজিবি বলেছে, লোক ভর্তির সময় এ ধরনের ভুয়া দালালচক্রের নিকট থেকে সাবধান হতে হবে। সকলে সজাগ হলে এ ধরনের দালালেরা অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে না। যখন কোনো সংস্থা স্বচ্ছতার সাথে ভর্তি রিক্রুট নিশ্চিত করতে নানামুখি উদ্যোগ নেয় তখনও এ ধরনের দালালচক্রের ধৃষ্টতা দায়িত্বশীলদের হতাশ করে। সে কারণেই সকলকে সতর্ক ও সজাগ হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

Leave a comment