জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদে যোগদান করতে এসে চেয়ারম্যান, বিদায়ী সচিব ও ইউপি সদস্যর সাথে দুর্ব্যবহার ও অসদাচরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে নবাগত সচিব শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে। তিনি বিদায়ী সচিব তোফাজ্জেল হোসেনসহ ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামকে তাদের চেম্বার থেকে বের করে দিতে উদ্যত হন এবং এক পর্যায়ে জোরপূর্বক চাবি নিয়ে তালা লাগিয়ে দেন। নবাগত ইউপি সচিবের এমন আচারণে হতভম্ব হয়ে পড়েন উপস্থিত সকলে। এ অবস্থায় বিশেষ সভা আহ্বান করেন ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম। সভায় বদলি হয়ে আসা ইউপি সচিব শাহজাহান আলীকে হাসাদাহ ইউনিয়ন পরিষদে যোগদান করতে না দেয়াসহ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে হাসাদাহ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা যায়, হাসাদাহ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সচিব তোফাজ্জেল হোসেন আলমডাঙ্গা উপজেলায় বদলি হয়েছেন। অপরদিকে আলমডাঙ্গা থেকে হাসাদাহ ইউনিয়নে বদলি হয়েছেন শাহজাহান আলী। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি এখানে যোগদান করতে যান। যোগদান করতে গিয়ে তিনি বদলিকৃত ইউপি সচিব তোফাজ্জেল হোসেনের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং তার নিকট থেকে কার্যালয়ের চাবি ছিনিয়ে নেন। পরে তিনি ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের চেম্বারে যান এবং তাকে জামায়াতে ইসলামীর চেয়ারম্যানের ‘ওই চেয়ারে বসার কোনো যোগ্যতা নেই, আমি বসবো ওই চেয়ারে, এই বলে তাকে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। পরে তিনি ইউপি সচিবের রুমে তালা লাগিয়ে দেন। অদ্ভূত এ পরিস্থিতি সামাল দিতে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম টপি এগিয়ে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করেন সচিব শাহজাহান আলী। ঘটনার একপর্যায়ে তিনি চাবি ছুড়ে ফেলে দিয়ে সঙ্গীকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে চলে যান। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম গতকাল বিশেষসভা আহ্বান করেন। সভায় ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। বিশেষসভায় বদলি হয়ে আসা সচিব শাহজাহান আলীকে এ ইউনিয়ন পরিষদে যোগদান করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।