মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইয়েমেনের বন্দর নগর এডেনে ইরানের সেনাবাহিনীর দু সদস্য ধারা পড়েছেন বলে দাবি করেছে স্থানীয় অস্ত্রধারীরা। গতকাল শুক্রবার বিকালে যুদ্ধ চলার সময় ওই দুজন ধরা পড়ে। তারা হুতি বিদ্রোহীদের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছিলেন বলে খবর প্রকাশ পেয়েছে। ইয়েমেন সরকারের অভিযোগ, প্রতিবেশী দেশ ইরান হুতি বিদ্রোহীদের মদদ দিয়ে ইয়েমেনের শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে। সৌদি আরবও একই অভিযোগে তুলেছে। যদিও তেহরানের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ বরাবরাই অস্বীকার করা হচ্ছে। হুতি বিদ্রোহীদের আগ্রাসণ রোধ করতে এবং ইয়েমেন সরকারকে ক্ষমতায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে বিমান হামলা চালাচ্ছে। যদি ইরানের দু সেনা সদস্যের ধরা পড়ার খবরটি সত্যিই হয় তবে তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির জোর সম্ভাবনা রয়েছে। এর জের ধরে মধ্যপ্রাচ্যে আরও বেশি বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়তে পারে। হুতি বিরোধী স্থানীয় অস্ত্রধারীদের দাবি, ধরা পড়া ইরানের ওই দু সেনা সদস্যের একজন কর্নেল এবং একজন ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার। দুটি আলাদা জেলা থেকে তাদের আটক করা হয়। অস্ত্রধারীরা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে ওই দুজন ইরানের কুদস বাহিনীর সদস্য এবং তারা হুতি বিদ্রোহীদের পরামর্শ দেয়ার কাজ করছিলেন। এদিকে গতকাল শনিবার ইয়েমেনের দক্ষিণ অঞ্চলে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের ব্যাপক বিমান হামলার পাশাপাশি সশস্ত্রবাহিনী সম্মুখ যুদ্ধেও অংশ নিচ্ছে।